লিড নিউজ

করোনা: নতুন করে একই পরিবারের ৩ জন আক্রান্ত

করোনাভাইরাসে দেশে নতুন করে আরও তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও একজন নারী এবং তারা একই পরিবারের সদস্য। সবমিলিয়ে দেশে এখন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ জনে দাঁড়াল।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।

ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ইতালিফেরত করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে থাকায় একই পরিবারের এই তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন।‘

স্বাস্থ্য মহাপরিচালক আরও জানান, আইসোলেশনে রয়েছেন ১৯ জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ৪৩ জন।

৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়। সেসময় তিনজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানায় আইইডিসিআর।

এরপর ১৪ মার্চ শনিবার রাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরো দুজনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানান।

পরবর্তীতে সোমবার তিনজন এবং মঙ্গলবার আরো দুজনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানানো হয়।

বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তির মৃত্য সংবাদ নিশ্চিত করেন আইইডিসিআরের পরিচালক।

পাশাপাশি বুধবার আক্রান্ত চারজনের তথ্যও জানানো হয়।

আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আক্রান্তদের সবাই বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছিলেন।

বুধবার নতুন করে যে চারজনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী।

চারজন নতুন রোগীর একজন পূর্বে আক্রান্ত এক ব্যক্তির পরিবারের সদস্য।

বাকি তিনজন সম্প্রতি বিদেশ ভ্রমণের মাধ্যমে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।

ঐ তিনজনের মধ্যে দুজন ইটালি থেকে ফিরেছেন এবং একজন কুয়েত থেকে ফিরেছেন বলে জানানো হয়।

আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত কোনো দেশ থেকে বাংলাদেশে ফিরে এলে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিন করতেই হবে। সেই নির্দেশনা না মানলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, বাংলাদেশে যে কজনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটেছে, তাদের পরিবারের বাইরে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিক মেলামেশার মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

“আমরা নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছি। যাদের নিউমোনিয়া হয়েছে এবং যাদের শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা রয়েছে তাদের নমুনা নিয়ে এসে আমরা দুভাগে- নিয়মিত কোভিড-১৯ এর পরীক্ষা এবং নমুনার পরীক্ষা – পরিচালনা করি।”

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

বাংলাদেশে এখন যারা করোনাভাইরাস আক্রান্ত রয়েছেন তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের একাধিক অসুস্থতা রয়েছে।

করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীরা যেসব হাসপাতালে যান সেসব হাসপাতালের চিকিৎসক এবং ঐ রোগীর সংস্পর্শে যারা আসবে তাদের মাধ্যমেও ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বিধায় সতর্ক থাকার কথা জানান মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button