খেলা

শিগগির ফেরা হচ্ছে না তাসকিনের

ছেলে তাসফিনের জন্মদিন ছিল গতকাল। মিরপুর স্টেডিয়ামে এসে এক বছর পূর্ণ হওয়া তাসফিনের জন্যও শুভাশিস পাচ্ছিলেন তাসকিন আহমেদ। ভরদুপুরে বিসিবি কার্যালয়, বিসিবি একাডেমি মাঠ জুড়ে ডানহাতি এই পেসার খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন জাতীয় দলের ফিজিও জুলিয়ান ক্যালেফাতোকে। রিহ্যাবের কাজটা যে তার সঙ্গেই করতে হবে তাসকিনকে।

আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একমাত্র টেস্টে দলে থাকলেও ম্যাচ খেলা হয়নি তাসকিনসহ বাকি পেসারদের। ঐ টেস্টের পরই সাইড স্ট্রেইনের চোট ধরা পড়ে তরুণ এই পেস বোলারের। গত ১০ সেপ্টেম্বর এম আর আই করা হয়েছিল তার। অন্তত তিন সপ্তাহের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। এই সময়ের পর অবস্থা বুঝে শুরু হবে মাঠে ফেরার কাজ। যদিও তাসকিনের মাঠে ফেরার সময়টা এত দ্রুত আসছে না। পূর্ণ সুস্থ হওয়ার আগে তাসকিনকে ক্রিকেটীয় কার্যক্রমে ফিরতে দেওয়া হবে না।

ক্যারিয়ারে এবারসহ তিন বার সাইড স্ট্রেইনের ইনজুরিতে পড়লেন এই পেসার। এবার তাই তড়িঘড়ি করে মাঠে নামার সুযোগ নেই তার। কোনো ঝুঁকিও নেওয়া হবে না। ফিজিও ক্যালেফাতোর সবুজ সংকেত দিলেই শুরু হবে তাসকিনের বল হাতে ফেরার প্রস্তুতি।

গতকাল বিসিবির করিডরে তাসকিনের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে ক্যালেফাতো বলেছেন, ‘ভালো। তাসকিন কবে নাগাদ মাঠে ফিরবে সেটা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। আর বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে চাচ্ছি না।’

এই প্রোটিয়া ফিজিও আরো বলেন, ‘আমাদেরকে ধৈর্য ধরতে হবে। কারণ তাসকিনের এই ইনজুরিটা আগেও হয়েছে। এটা মনে হয় তৃতীয়বার। তাই অপেক্ষা করতে হবে। সময় দিতে হবে।’

ক্যালেফাতোর কথায় স্পষ্ট, তাসকিন সহসা বল হাতে নিতে পারছেন না। এই কারণে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) শুরুর দিকে খেলতে পারবেন না ডানহাতি এই পেসার। এমন কি এনসিএলে তার অংশগ্রহণ অনিশ্চিত বললেও ভুল হবে না। তবে সুস্থ হয়ে গেলেও এনসিএলে খেলার সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত তাসকিনেই নিতে হবে। কারণ এমন ইনজুরি থেকে উঠে এসে চারদিনের ম্যাচ খেলাটা ঝুঁকি তৈরি করবে। বরং অনুশীলনের মধ্যে থেকে ভারত সফরের টেস্ট সিরিজের জন্য প্রস্তুত হওয়াকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

তাসকিনের এনসিএল খেলা প্রসঙ্গে বিসিবির প্রধান চিকিত্সক দেবাশীষ চৌধুরী বলেছেন, ‘ও তিন সপ্তাহ বিশ্রাম নেওয়ার পর বোলিং শুরু করতে পারবে। এর পরই আমরা বুঝতে পারব। এনসিএল খেলার সিদ্ধান্তটা ওকে নিতে হবে। ও কেমন বোধ করছে সেটা সে ভালো বলতে পারবে। যদি অল্প ব্যথাও লাগে তাহলে আমরা ওকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিব না। যদি ফিট হয় ভারত সফরের জন্য তাকে পাওয়া যেতে পারে।’

তাসকিন নিজেও পরিস্থিতি বুঝতে পারছেন। গতকাল বিসিবি একাডেমি মাঠে আলাপচারিতায় বলছিলেন, এটাসহ তিনবার হলো তো। ফিজিও বলেছে, তাড়াহুড়ো না করতে। আগের প্রক্রিয়ায় রিহ্যাব শেষ করে নামা যাবে না। ও একটা লম্বা প্রোগ্রাম করে দিচ্ছে। সময় নিয়ে পুরোপুরি সেরে গেলেই মাঠে নামব।

২০১৫ সালে প্রথমবার সাইড স্ট্রেইনের ইনজুরিতে পড়েছিলেন তাসকিন। গত বছরও এই ইনজুরি ভুগিয়েছে দ্রুতগতির এই পেসারকে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button