সাহেদকে ডিবি থেকে র্যাবে হস্তান্তর
করোনা টেস্টের নামে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি হেফাজত থেকে র্যাবে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে গতকাল সাহেদের প্রতারণার মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব।
এলিট ফোর্সটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার আসামি সাহেদকে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করেছে ডিবি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতির পরই তাকে র্যাবে হস্তান্তর করা হলো।’
গত ৬ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাব। করোনার এই দুর্যোগকালীন সময়ে নমুনা সংগ্রহ করা হলেও টেস্ট না করে ফলাফল দেওয়া, হাসপাতাল পরিচালনার সনদের মেয়াদ না থাকা বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। পরের দিন হাসপাতালটির উত্তরা ও মিরপুরের দুটি শাখা সিলগালা এবং সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে র্যাব। মামলার পর সাহেদ ঢাকা থেকে পালিয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করে সবশেষ সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে দেশত্যাগের চেষ্টা করেন। ১৫ জুলাই ভোরে ভারতে পালানোর প্রস্তুতির সময় সাহেদকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে নিয়ে উত্তরায় তার অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল জাল টাকা জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় সাহেদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানা ও সাতক্ষীরায় পৃথক মামলা হয়।
এদিকে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে করা মামলাটি উত্তরা পশ্চিম থানা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবিকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে সাহেদ ও রিজেন্টের এমডি মাসুদ পারভেজকে গ্রেপ্তারের পর ওই দিনই তাদেরকে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। গোয়েন্দা সংস্থাটি তাদের দুজনকে আদালতে উপস্থাপন করে রিমান্ড চাইলে আদালত দশদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। বর্তমানে সেই মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে সাহেদকে র্যাবে হস্তান্তর করা হলো।