রকমারি

শিক্ষকতা ছেড়ে শখের পিৎজা বানানোকে করলেন পেশা

ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। বাসায় বসে পিৎজা বানানোটা ছিল তার শখের একটি অংশ। বাসায় অতিথি এলে নিজেই বানিয়ে খাওয়াতেন মজাদার সব স্বাদের পিৎজা। এক সময়ের এ শখের পিৎজা বানানো এখন তার জীবিকায় রূপ পেয়েছে।

ভাবতে পারেন পিৎজা বানিয়েও নিজেকে বদলে নেয়া যায়? পিৎজা বানিয়েও চরম দুঃসময়ে ঘুরে দাঁড়ানো যায়? এমন অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন চট্টগ্রামের মশরুর উদ্দিন আনোয়ার। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে শুরু করেছেন ‘পিৎজা অ্যাট হোম’। নিজেই উদ্যোক্তা, নিজেই শেফ, নিজেই ডেলিভারিম্যান। এক হাতেই করেন সব, সাথে মুগ্ধ ভালোবাসায় সহযোগী হন প্রিয়তমা স্ত্রী।

মশরুর উদ্দিন আনোয়ার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন। এরপর শিক্ষকতা পেশায় ছিলেন দীর্ঘদিন। সর্বশেষ তিনি বেসরকারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের (ইউএসটিসি) ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। নানা কারণে এ পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেন। তিনি চাইলেই হয়ত অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিতে পারতেন। তা না করে তিনি চেয়েছেন নিজের শখের পিৎজা বানানোকে কাজে লাগিয়ে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে।

মশরুর উদ্দিন আনোয়ারের ‘পিৎজা অ্যাট হোম’ এর পথচলা নিজের ঘর থেকেই। এখনও কাজ করছেন ঘরেই। অনলাইনে নিজেই অর্ডার নেন। নিজের সর্বোচ্চ ভালোবাসা আর দক্ষতা দিয়ে মজাদার পিৎজা বানান। আবার সেই পিৎজা নিজে গাড়ি ড্রাইভ করে বাসায় পৌঁছে দেন। একজন জনপ্রিয় ও পরিচিত শিক্ষক হয়েও নিজের নতুন কাজ নিয়ে তিনি কখনও হীনমন্যতায় ভুগেন না। কাজ করতে ভালোবাসেন। এ ভালোবাসার কাজ করেই তিনি স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন উপভোগ করার স্বপ্ন দেখেন।

মশরুর উদ্দিন আনোয়ার বলেন, ‘আমি কাজ করতে ভালোবাসি। এতে আমার কোনো লজ্জাবোধ নেই।’

‘পিৎজা অ্যাট হোম’ নিয়ে বহুদূর যাওয়ার স্বপ্নের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, শুরু করার পর থেকেই সমগ্র চট্টগ্রামে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন তিনি। স্বাদের সাথে সেবা ও ভালোবাসার সংমিশ্রণ থাকায় চট্টগ্রামের পিৎজাপ্রেমীরা তার পিৎজার ওপর আস্থা রাখছেন কোনো দ্বিধা ছাড়াই। আর এ কাজে প্রিয়তমা স্ত্রীর সহযোগিতা তাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আরও বেশি অনুপ্রাণিত করছে বলে জানান মশরুর উদ্দিন আনোয়ার।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button