অর্থনীতি

ঢাকায় বাড়তি ঝাঁজ পেঁয়াজের

ঢাকায় পেঁয়াজের পাইকারি ও খুচরা বাজারে চরম অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কোথাও ৭০, কোথাও আবার ৭৫ টাকা কেজিতেও পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে।

ঢাকার শ্যামবাজারের পেঁয়াজের আড়তগুলোতেও দেশি পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন বলে জানা গেছে। কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজের আড়তগুলোতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ পাইকারি ৬০-৬৫ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

কারওয়ান বাজারের আড়তদার হাবিব কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গত রাতে এলসির পেঁয়াজগুলো আনা হয়েছে। এ জন্য বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।’ তবে পেঁয়াজ কেনার রসিদ দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে অস্বীকৃতি জানান।

হাবিবের আড়ত থেকে মিনিট খানেকের হাঁটা দূরত্বেই এক খুচরা বিক্রেতা পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। তিনি দেশি পেঁয়াজ ৭৫ ও আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৭০ টাকায়। এই বিক্রেতা থেকে আরো মিনিট খানেকের হাঁটা দূরত্বে এক নারী পেঁয়াজ, রসুন ও আদা বিক্রি করছিলেন। তিনি প্রতি কেজি দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৮০ টাকায়।

একইভাবে গুলশান গুদারাঘাট কাঁচাবাজারের কয়েকটি মুদি দোকান ঘুরে দেখা গেল, কেউ ৭৫ টাকা আবার কেউ ৮০ টাকা কেজি দরে এই পেঁয়াজ বিক্রি করছে। দামের পার্থক্যের কারণ জানতে চাইলে আনিস নামের এক বিক্রেতা জানান, ‘ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এ কারণে দেশেও দাম বেড়েছে।’

বাড়তি দামের পেঁয়াজ দোকানে তুলেছেন কি না জানতে চাইলে আরেক মুদি দোকানি শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সবাই তো আগের পেঁয়াজই বেশি দামে বিক্রি করছে। আমি তো ৭৫ টাকায় বিক্রি করছি, কিন্তু পাশের দোকানেই ৮০ টাকা। ধরলে তারে ধরেন।’

গত শুক্রবার খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকা কেজি দরে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়। দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৫-৩০ টাকা। এভাবে লাগানহীন দাম বাড়ার বিষয়টিকে ব্যবসায়ীদের কারসাজি বলছেন ভোক্তারা।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button