বুধবার সকালে বড়াইগ্রাম পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড থেকে স্বপ্না নামে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।নিহত স্বপ্না খাতুন ধারাবারিষা গ্রামের আঃ লতিফের মেয়ে।
বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দেড় বছর আগে স্বপ্নার সঙ্গে কালিবাড়ি গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে রাকিবের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের সংসার জীবনে অশান্তি লেগেই থাকতো।
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নতুন করে ফোনে তর্কবিতর্ক হয়। পরে ঘরের তীরের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো লাশ দেখতে পায় নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে রাতেই বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত স্বপ্নার বড় ভাই মোঃশাহিনুর রহমানের দাবি, তার বোনকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। কারণ অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে সব সময়ই তার বোনকে সন্দেহ করা হতো। মাঝে মাঝে মারধরও করা হতো।
গৃহবধূর পিতা আব্দুল লতিফ ইসলাম বলেন, বিয়ের পর ছেলের চাহিদা মোতাবেক জামাইকে খুশি করার জন্য সবকিছুই তাকে দেওয়া হয়েছিলো, তারপরও তার মেয়েকে নির্যাতন করা হতো।
বড়াইগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক সুমন আলী বলেন নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তর জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে। তদন্ত রিপোর্ট ছাড়া কিছুই বলা যাচ্ছে না।