‘ভিসিদের কারণে অনেক ছাত্রের জীবন নষ্ট হয়েছে’
বিশ্ববিদ্যালেয়র ভিসিদের কারণে অনেক ছাত্রের জীবন নষ্ট হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় নিপীড়নবিরোধী অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। আনু মুহাম্মদ বলেন, ভিসিদের দায়িত্ব অবহেলার কারণে শুধু আবরার খুন হয়নি, তার আগে এরকম অনেক শিক্ষার্থীর জীবন নষ্ট হয়েছে। আবরারের নাম আমরা জানি। কিন্তু যারা পঙ্গু হয়েছে, শিক্ষাজীবন নষ্ট হয়েছে, যাদের জীবন তছনছ হয়েছে, তাদের হিসাব তো আমরা জানি না।
একাদশ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যে বিবৃতি দিয়েছিলেন তার সমালোচনা করেছেন তিনি। অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কিংবা সাধারণভাবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।‘চিন্তা করেন ২৯ ডিসেম্বরের রাতে যে নির্বাচন হয়েছে, যে নির্বাচনে কোনো ভোট ছিল না। যে নির্বাচন রাতে হয়েছে। সেই নির্বাচনের পরে কোনো আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন লোক কি বলতে পারে-এই নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে?’
তিনি বলেন, সেই নির্বাচন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষক বিবৃতি দিয়ে বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তারপর আমরা কী করে একজন শিক্ষকের ভূমিকা তাদের কাছ থেকে আশা করতে পারি। আনু মুহাম্মদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন আবরার নিহত হয়েছে, তার আগে আবরারের মতো অসংখ্য ঘটনা আছে। এবং সেই অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে হলের প্রভোস্ট, হলের হাউস টিউটর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কারণে।
তিনি বলেন, আবরার নিহত হওয়ার পর ৩৬ ঘণ্টা পর্যন্ত উপাচার্যকে দেখা যায়নি। সেই উপাচার্যকে যখন ছাত্রছাত্রীরা জিজ্ঞাসা করেছে, আপনি কোথায় ছিলেন? তখন তিনি বলেছেন ‘আমি ওপর মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলাম।’ ‘তিনি ওপর মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, মন্ত্রী সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আর এজন্যই তার ৩৬ ঘণ্টা চলে গেল।’
আনু মুহাম্মদ বলেন, আজ যদি আইন আদালত ঠিক থাকতো, কাজ করতো তাহলে আবরার হত্যাকাণ্ডের তালিকায় ওই প্রভোস্ট, উপাচার্যের নামও থাকতো। কারণ তারা দায়িত্বে অবহেলা করেছেন।