আন্তর্জাতিক

অক্টোবরে সম্ভাব্য সময়সীমা :ফাইজার ও বায়োএনটেক-এর করোনা টিকা

যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ফাইজার এবং জার্মান প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক-এর যৌথভাবে উৎপাদিত টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল অব্যাহত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত আশাবাদী এর উৎপাদকরা। তাই শিগগিরই এটি বাজারজাত করতে চান তারা। বাজারজাতকরণের অনুমতি দিতে আগামী অক্টোবরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করবে তারা।

ফাইজার এবং বায়োএনটেক জানিয়েছে, নিজেদের উদ্ভাবিত টিকা মূল্যায়নের জন্য তারা বিশ্বজুড়ে সমীক্ষা চালাবে। এই সমীক্ষা সফল হলে আগামী অক্টোবরের গোড়ার দিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে অনুমোদন চাওয়া হবে। ২০২০ সালের শেষ নাগাদ এই টিকার ১০০ মিলিয়ন ডোজ এবং ২০২১ সালের শেষ নাগাদ ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডোজ সরবরাহের অনুমতি চাওয়া হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রথম দিকে রোগীদের এই টিকার দুইটি করে ডোজ দেওয়া হবে। ফলে প্রথম ১০০ মিলিয়ন ডোজ পাবেন প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষ।

দুনিয়াজুড়ে ১২০টি স্থানে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের ওপর এই টিকার পরীক্ষা চালানো হবে। বিশেষ করে অধিক হারে করোনার প্রাদুর্ভাব রয়েছে; এমন এলাকাগুলোতে পরীক্ষা চালানো হবে।

টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফাইজার-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) অ্যালবার্ট বোরলা জানিয়েছেন, তারা আশা করছেন, অক্টোবর নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) কর্তৃপক্ষ তাদের ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়ে দেবে। এই বছরের মধ্যে ১০ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে ইতোমধ্যে বাণিজ্যিক আলাপ শুরুর কথা জানান তিনি।

করোনাভাইরাসের মহামারিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকার মধ্যেই এগিয়ে চলেছে ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের গবেষণা। বিশ্বজুড়ে ১৪০টিরও গবেষণার কাজ চললেও ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি চূড়ান্ত পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মনে করছে, ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। তবে এবারে জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক’র সঙ্গে যৌথভাবে উদ্ভাবন পর্যায়ে থাকা ভ্যাকসিনটি বাজারে আনার সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করলো ফাইজার।

ফাইজারের প্রধান নির্বাহী (সিইও) অ্যালবার্ট বোরলা জানিয়েছেন, গত ১ জুলাই প্রকাশ হওয়া প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষার ফলাফল তাদের আরও আশাবাদী করে তুলেছে। ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের সঠিক পথে থাকা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বোরলা জানান, এফডিএ’র অনুমোদন পাওয়ার আগেই তারা এর উৎপাদন শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মেসেঞ্জার আরএনএ (এমআরএনএ) নামে একটি জিনভিত্তিক পদ্ধতিতে এই ভ্যাকসিন তৈরি করছে ফাইজার। তবে প্রতিষ্ঠানটির সিইও স্বীকার করেছেন, এখন পর্যন্ত সংক্রামক রোগ ঠেকাতে এমআরএনএ-ভিত্তিক ভ্যাকসিন কোথাও অনুমোদন পায়নি।

লাভের হিসাব করেই ভ্যাকসিনটির মূল্য নির্ধারণের পরিকল্পনা করছে ফাইজার। তবে এর প্রধান নির্বাহী অ্যালবার্ট বোরলা মনে করেন, প্রথম ডোজগুলো বিভিন্ন দেশের সরকার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের বিনামূল্যে সরবরাহ করবে।

সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button