অর্থনীতি

ব্যাংক লেনদেনের সময় বাড়লো

চলমান সাধারণ ছুটির সময় রাজধানীর মতিঝিল ও দিলকুশা এবং চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও আগ্রাবাদে অবস্থিত সব তফসিলি ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই ব্যাংকগুলোর লেনদেন সহ খোলা রাখার সময় বাড়ানো হয়।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি হয়েছে।

সার্কুলার অনুযায়ী, এসব এলাকার ব্যাংকগুলোতে আগামী ২৬ এপ্রিল হতে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত গ্রাহক লেন‌দেন কর‌তে পার‌বেন। আর ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত।

দেশের তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে দেশের বিভিন্ন বন্দরের (সমুদ্র, স্থল ও বিমান) মাধ্যমে আমদানি-রফতানি কার্যক্রমে সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে এসব এলাকায় (পোর্ট ও কাস্টমস্ এলাকা) অবস্থিত ব্যাংকের শাখা/বুথসমূহ স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্দর বা কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনাক্রমে সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার যে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল তা বহাল রয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরে সৃষ্ট পণ্য জট নিরসনে আমদানিকৃত পণ্য দ্রুত খালাসের মাধ্যমে অধিকতর সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে দেশের প্রধান দুটি বাণিজ্যিক এলাকা তথা ঢাকার মতিঝিল ও দিলকুশা এবং চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও আগ্রাবাদে অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকসমূহের শাখার বিষয়ে নতুন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটি।

সার্কুলারে, আগামী ২৬ এপ্রিল হতে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এসব এলাকায় অবস্থিত সব তফসিলি ব্যাংকের শাখা প্রতি কার্যদিবসে খোলা রাখতে হবে। বাণিজ্যিক এলাকার ব্যাংক শাখার দৈনিক ব্যাংকিং লেনদেনের সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পুনঃনির্ধারণ করা হলো। এক্ষেত্রে লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্ট শাখা এবং প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রয়োজনে দুপুর সাড়ে ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।

আরও বলা হয়, ইতোপূর্বে ১৬ এপ্রিল জারিকৃত ডিওএস সার্কুলার লেটার নং-১৩ এর অন্যান্য সকল নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে। প্রধান দুটি বাণিজ্যিক এলাকা ছাড়া দেশের অন্য এলাকায় সীমিত আকারে ব্যাংকগুলো খোলা থাকবে। এসব ব্যাংকের শাখায় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত গ্রাহক লেন‌দেন কর‌তে পার‌বে। আর ব্যাংক খোলা থাকবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। পাশাপাশি করোনার কারণে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন যেসব এলাকা লকডাউন কর‌বে ওই এলাকায় সব ব্যাংকের সব শাখা বন্ধ থাক‌বে।

এছাড়া ব্যাংকিং লেনদেনের জন্য খোলা রাখা শাখা ও প্রধান কার্যালয়ে নির্দিষ্ট দূরত্ব (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী) বজায় রাখার বিষয়ে নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button