শিক্ষাঙ্গন

ইউল্যাব শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও হত্যা: দুই বন্ধু ৫ দিনের রিমান্ডে

ইউল্যাব শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় দুই বন্ধুর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া তাদের রিমান্ডের আদেশ দেন।  সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সময় সংবাদকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন হিরণ।

এর আগে রাজধানীর ইউল্যাব শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মূল অভিযুক্ত রায়হানসহ ২ বন্ধুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।  রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী মারা যান।

পরিবারের অভিযোগ, ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।  পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার বন্ধুদের সঙ্গে ওই ছাত্রী উত্তরার একটি রেস্তোরাঁয় যান। সেখানে অসুস্থবোধ করলে তাকে বান্ধবীর বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।  পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় শনিবার (৩০ জানুয়ারি) তাকে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়।  নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রোববার তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় অজ্ঞাত একজনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছে ওই ছাত্রীর পরিবার।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে সজল জানান, চার বন্ধু মিলে উত্তরার একটি রেস্টুরেন্টে যায়।  সেখানে তারা মদ পান করে। এর মধ্যে একটা মেয়ে অসুস্থ হয়ে চলে যায়।  আর বাকিদের মধ্যে আরাফাত, রায়হান এবং আরেকটি মেয়ে উবারে করে আসে। এদের মধ্যে আরাফাত গতকাল মারা গেছে।  রায়হান এবং ওই মেয়েটার পূর্বসম্পর্ক ছিল। একটি বাসায় নেওয়ার পর মেয়েটি অসুস্থ বোধ করলে তারা ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে যায় কিন্তু তারা রোগী রাখে নাই।  পরে আনোয়ার খান হাসপাতালে নিয়ে যায়।  সেখানে সোমবার সকালে মেয়েটি মারা গেছে।

মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে।  তিনি বলেন, মামলার প্রেক্ষিতে দুজন আসামিকে আমরা গ্রেফতার করেছি।  আরেকজন আসামি আরাফাত, সে মারা গেছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button