শিক্ষাঙ্গন

ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়া পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় যেসব শিক্ষার্থী ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছেন তাদের উত্তরপত্র আলাদা করে রাখা হয়েছে, তারা কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ও কলম্বো প্ল্যান স্টাফ কলেজের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দক্ষতাবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ‘ঢাকা ঘোষণা’ জানাতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এই সম্মেলন হয়। সম্মেলনের ঢাকা ঘোষণায় মানসম্মত কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর প্রশ্ন নিয়ে সমস্যা হয়েছে। যেসব শিক্ষার্থী ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা সেসকল উত্তরপত্র আলাদা করে রেখেছি। পরীক্ষার্থীরা যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তার সম্পূর্ণ ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করেছি।’

তিনি জানান, এবার ৫২ হাজার কক্ষে মাধ্যমিকের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। আর ১৫টি কক্ষে ভুল প্রশ্ন বিতরণ করা হয়েছে। সেই অর্থে সংখ্যার হিসেবে হয়ত খুবই নগণ্য।

কিন্তু এই ১৫টি কক্ষেই কেন এমন ভুল প্রশ্ন বিতরণ হয়েছে এমন প্রশ্নে দীপু মনি বলেন, ‘প্রথমে কেন্দ্র সচিব, ট্যাগ অফিসার, পুলিশের প্রতিনিধিসহ প্রশ্নপত্র খোলার প্রক্রিয়া দেখবেন। তারপর শিক্ষকরা সেটকোড অনুযায়ী দেখে বের করবেন। যে শিক্ষক বিতরণ করতে যাচ্ছেন তার দেখার কথা। এমনকি পরীক্ষার্থীরা কিন্তু প্রশ্ন পাওয়ার পর তাদেরও দেখার কথা।’

‘ল্যাপস হয়ে গেলে অনেকগুলো ধাপে হয়। যেখানে সমস্যা হয়েছে সবগুলো ধাপেই সমস্যা হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা তখন পরীক্ষার উৎকণ্ঠায় থাকেন, সে না দেখতে পারে। কিন্তু বাকিদের সেটি দেখা অবশ্য কর্তব্য এবং দেখতেই হবে,’ ‍যোগ করেন তিনি।

দীপু মনি উল্লেখ করেন, বোর্ডের নির্দেশনা মেনে নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের বসানোর আলাদা ব্যবস্থা করলে এই সমস্যা হত না।

কোনোভাবেই যেন কোনো কেন্দ্রে আর ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণ না হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়গুলো আগে যা হত তার থেকে কমে এসেছে, একেবারেই যেন না থাকে, এটাকে শূন্যের কোটায় নিয়ে যাবার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে এবং সেটা থাকবে।’

শিক্ষার্থীদের গাইড বই, নোটবই ব্যবহারে অনুৎসাহিত করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা গাইড বই, নোটবই ব্যবহার বন্ধ করতে চাই। কারণ আমাদের এখন সৃজনশীল পদ্ধতিতে গাইড প্রয়োজন হওয়ার কথা নয়। গাইড বই, নোট বই মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠান তারা অনৈতিকভাবে কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের আর্থিকভাবে প্রভাবিত করে তারা বাধ্য করে শিক্ষার্থীদের এসব গাইড বই, নোটবই কিনতে। এজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।

গাইড বই, নোট বই বিক্রি বন্ধের ব্যাপারে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনেরও সহযোগিতা চান শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে কিন্তু সারাদেশে, প্রতিটি জায়গায় এই বিষয়গুলো বন্ধ করা এককভাবে কোনোদিনই সম্ভব নয়, যদি আমরা সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা না পাই।’

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button