শিক্ষাঙ্গন

৪১তম বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে দ্বিধায় পিএসসি

গত ২৫ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ৪০তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। প্রিলিতে পাশ করা পরীক্ষার্থীরা লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। ফল প্রকাশের পর এবার ৪২তম বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের তোড়জোড় করছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। চলতি মাসের মধ্যে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তবে এই পরীক্ষা সাধারণ হবে নাকি বিশেষ হবে সে ব্যাপারে এখনও কর্ম কমিশনের নীতি-নির্ধারকেরা সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।

ইতোমধ্যে সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক সংকট নিরসনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পিএসসিতে চাহিদা পত্র পাঠানো হয়েছে। সরকারিভাবেও ৪১তম বিসিএসকে বিশেষ বিসিএস বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষক নিয়োগের চিন্তাভাবনাও চলছে। যদিও পিএসসি কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চাহিদা পত্রটি তারা এখনও হাতে পান নি। এজন্য ৪১তম বিসিএসটি সাধারণ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করছেন তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিএসসির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বিশেষ বিসিএস আয়োজনের মৌখিক প্রস্তাবের ব্যাপারে জানতে পেরেছি। তবে এখনো পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোনো কাগজ বা নির্দেশনা হাতে আসেনি। এ জন্য সাধারণ বিসিএস আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’

অন্যদিকে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ২ হাজার ১৩৫টি শূন্য ক্যাডার পদের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। পিএসসির ওই কর্মকর্তা জানান, চলতি মাস শেষ হওয়ার আগেই বিসিএস আবেদন করার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে কমিশন। যেখানে প্রশাসন ক্যাডারে ৩ শ ২৩ জন, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫ জন এবং পুলিশ ক্যাডারে সহকারী পুলিশ সুপার পদে ১০০ জন নিয়োগ পাবেন।

পিএসসির ওই কর্মকর্তা আরও জানান, শুল্ক ও আবগারিতে ২৩টি, কর ক্যাডারে ৬০টি, আনসারে ২৩টি, নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডারের ২৫টি, সমবায় ক্যাডারের ৮টি, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা পদে ১২টি, তথ্য ক্যাডারে ৪৭টি, বিসিএস কৃষি ক্যাডারের ১৮৯টি, বাণিজ্য ক্যাডারের সহকারী নিয়ন্ত্রকের ৪টি, স্বাস্থ্য ক্যাডারের সহকারী সার্জন, ডেন্টাল সার্জনের ১৪০টি পদে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করা হবে।

৪১তম বিসিএস সাধারণ হলে এখান থেকে সাধারণ শিক্ষায় ৮ শ ৯২টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। যদিও সারা দেশে সরকারি কলেজগুলোতে দুই হাজারেরও বেশি পদ শিক্ষক শূন্য রয়েছে। এছাড়া অনেক শিক্ষক মাতৃত্ব কালীন ছুটি, শিক্ষা ছুটিসহ বিভিন্ন কারণে পাঠদানের বাইরে আছেন। ফলে সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক শূন্যতা তৈরি হয়েছে।

সরকার চাইছে ৪১তম বিসিএসকে বিশেষ বিবেচনা করে দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে এই শূন্যতা পূরণ করতে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কলেজ শাখার পরিচালক মোহাম্মদ শামছুল হুদা বলেন, ‘আমরা সরকারি কর্ম কমিশনের কাছে আমাদের চাহিদা পাঠিয়েছি। বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য ওরা একটি বিশেষ বিসিএস আয়োজন করবে। তবে সেটা ৪১ নাকি ৪২ তম হবে সেটি বলা যাচ্ছে না।’

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button