বিনোদন

এই সময়ে তানভীন সুইটি

তানভীন সুইটি, বাংলাদেশের টিভি নাটকের এবং মডেলিং দুনিয়ার অন্যতম একজন শিল্পী। কিন্তু অনেকেরই অজানা গুণী এই শিল্পীর মিডিয়াতে যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯৫ সালে মঞ্চে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। সেই বছর তিনি নাট্যদল থিয়েটারের হয়ে প্রথম মঞ্চে অভিনয় করেন সৈয়দ শামসুল হকের গল্পে এবং আতাউর রহমানের নির্দেশনায় ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ নাটকে।

এরপর সুইটি একে একে সেই সময়ের দর্শকপ্রিয় মঞ্চ নাটক ‘স্পর্ধা’, ‘কৃতদাস’, ‘তোমরাই’, ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’, ‘মেরাজ ফকিরের মা’, ‘মেহেরজান আরেকবার’সহ বেশকিছু মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন। এখনও মঞ্চে নিয়মিত। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর ত্রপা মজুমদারের নির্দেশনায় ‘মুক্তি’ নাটকে অভিনয়ে দেখা যাবে সুইটিকে।

মঞ্চের একজন দাপুটে অভিনেত্রী হিসেবে তানভীন সুইটির গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু তার মঞ্চের সাফল্যগাঁথা খুব কম করেই আলোচনায় এসেছে। আলোচনায় এসেছে বার বার টিভি নাটকে তার অভিনয় কিংবা বিজ্ঞাপনে তার অনবদ্য উপস্থিতি। অথচ মঞ্চই তাকে আজকের সুইটিতে পরিণত করেছে। গুণী এই অভিনেত্রীর জন্মদিন ছিল কাল। না, কোন পরিকল্পনা ছিল তার জন্মদিন নিয়ে।

শুরুটা খুব কাছের কিছু বন্ধুদের সঙ্গে। পরের বাকিটা সময় কাটে তার নিজের বাসাতেই। এক ফাঁকে তিনি রাজধানীর শংকরে বাবার বাসায় যান। তানভীন সুইটি বলেন, আমার আজকের এই অবস্থানে আসার নেপথ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকা আমার বাবা, মা আর আমার স্বামী রিপনের। তারপর আমার শ্বশুরবাড়ির সহযোগিতা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কারণ আমার বিয়ে হয়েছে ২১ বছর। এই ২১টি বছর তারা আমাকে নানাভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে পাশে ছিলেন বলেই আমি আগেও যেমন অনায়াসে কাজ করতে পেরেছি, এখনও করতে পারছি। বিশেষত রিপনের কথা উল্লেখ করতেই হয়। যে সময়ে আমি মঞ্চ নাটকে তুমুল ব্যস্ত ছিলাম সেই সময়ে রিপন আমার পাশে থেকে থেকে সাহস দিয়েছে, অনুপ্রেরণা দিয়েছে।

তার এই অবদান আমি কোন দিনই ভুলব না। এদিকে তানভীন সুইটি অনেকদিন পর বিটিভির নতুন একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন। নাটকের নাম ‘কালের যাত্রা’। মামুনুর রশীদের উপন্যাস অবলম্বনে সবুজ ওয়ালিদের চিত্রনাট্যে নাটকটি নির্মাণ করছেন আকরাম খান। এতে তার বিপরীতে আছেন চঞ্চল চৌধুরী। টেলিভিশনে সুইটি প্রথম নাটকে অভিনয় করেন সালমান শাহ’র বিপরীতে ‘স্বপ্নের পৃথিবী’তে। আফজাল হোসেনের নির্দেশনায় তিনি প্রথম ‘ডায়ম- ব্র্যান্ড তেল’ বিজ্ঞাপনে মডেল হন। তার অভিনীত একমাত্র চলচ্চিত্র আবু সাইয়ীদের ‘বাঁশি’। সুইটির বাবা প্রয়াত মোঃ আব্দুল মোতালেব, মা প্রয়াত শুকুরুন্নেসা। দশ ভাই বোনের মধ্যে সুইটি নবম। তাদের সবার বড় বোন মঞ্জিলাই শুধু নেই। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের মেয়ে সুইটি রাজধানীর লালমাটিয়া কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। ১৯৯৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রিপনকে বিয়ে করেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button