বিনোদন

এক দশক পর পর্দায় আসছে ‘জম্বিল্যান্ড’র সিক্যুয়াল

ডাকিনীবিদ্যার প্রয়োগে প্রাণ ফিরে পাওয়া লাশকে বলা হয় ‘জম্বি’। পুরো আমেরিকা আসলে জম্বিদেরই দেশ- এরকম কাহিনী নিয়ে নির্মিত ‘জম্বিল্যান্ড’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিলো ২০০৯ সালে। এর প্রায় এক দশক পর দর্শকদের সামনে আসছে এ সিনেমার সিক্যুয়াল ‘জম্বিল্যান্ড: ডাবল ট্যাপ’। ছবিটি শুক্রবার আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পেতে যাচ্ছে, একইসঙ্গে মুক্তি পাবে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে।

‘জম্বিল্যান্ড’র নির্মাতা রুবেন ফ্লেচারই ‘জম্বিল্যান্ড: ডাবল ট্যাপ’ ছবিটি নির্মাণ করেছেন। ছবির অভিনয়শিল্পীদের তালিকায়ও খুব একটা পরিবর্তন ঘটেনি। আগের ছবির মতো এ ছবিতেও থাকছেন অস্কার মনোনীত অভিনেতা উডি হ্যারেলসন, জেসি আইজেনবার্গ, এবিগেইল ব্রেসলিন ও অস্কারজয়ী এমা স্টোন।

হলিউডের এখন পর্যন্ত সবচাইতে ব্যবসাসফল জম্বি সিনেমা ‘জম্বিল্যান্ড’। আইএমডিবিতে ৭ দশমিক ৮ রেটিং পাওয়া সিনেমাটি সমালোচকদেরও মন জয় করতে সক্ষম হয়েছিলো। একাধিক অ্যাওয়ার্ডও ঘরে তুলেছে ছবিটি।

কয়েকমাস ধরে আমেরিকার গবাদিপশুর মধ্যে একটি অদ্ভুত রোগ ছড়িয়েছে, যার কোন প্রতিষেধক পাওয়া যায় না। বরং রোগটি মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে এবং আক্রান্ত মানুষেরা যাকেই কামড় দিচ্ছে সে একই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এমন অবস্থায় কলেজ ছাত্র কলম্বাস রওনা দেয় ওহাইওতে। তার বাবা মা বেঁচে আছে কি না দেখার জন্য।

তখন তার পরিচয় ঘটে টালাহাসি নামের আরেকজন লোক এবং দুইবোন উইচিতা ও লিটল রকের সঙ্গে, যাদের প্রত্যেকেই এই ভয়ঙ্কর রোগের হাত থেকে বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে। মূলত এই চারজনকে নিয়েই এগিয়ে যায় ‘জম্বিল্যান্ড’-এর কাহিনী।

প্রথম ছবির কাহিনীর সূত্র ধরেই ‘জম্বিল্যান্ড: ডাবল ট্যাপ‘-এর চিত্রনাট্য অগ্রসর হয়েছে। ছবিতে বেশ কিছু চোখ ধাঁধানো অ্যাকশন দৃশ্য রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে মজার দৃশ্যও। এ ছবিতেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। ছবির ট্রেলারে তেমন আভাসই মিলেছে। আগের ছবির মতো এ ছবির সাফল্য নিয়েও যথেষ্ট আশাবাদী পরিচালক রুবেন ফ্লেচার। তার মতে, এ ছবিতে দর্শকরা অনেক দারুণ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাবেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button