ওয়াশিংটন ডিসি মাতালেন নোবেল
বাংলাদেশের উদীয়মান সঙ্গীত তারকা কলকাতার সা-রে-গা-মা-পা খ্যাত মইনুল আহসান নোবেল তার মনোমুগ্ধকর গান দিয়ে মাতিয়ে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তর ওয়াশিংটন ডিসির প্রবাসী বাঙালিদের।
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে বৃহত্তর ওয়াশিংটন ডিসির অলাভজনক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন একাত্তর ফাউন্ডেশন ও বন্ধন অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে ভার্জিনিয়ার আলেকজান্দ্রিয়ার নোভা আলেজান্দ্রিয়া ক্যাম্পাসে এই ‘নোবেল লাইভ কনসার্টের’ আয়োজন করে।
রাত সাড়ে ১০টায় নোবেল স্টেজে উপস্থিত হলে দর্শক-শ্রোতারা বিপুল করতালি দিয়ে তাকে স্বাগত জানায়। তিনি দেশাত্মবোধক ‘ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা’ গানটি দিয়ে তার পরিবেশনা শুরু করেন। এরপর জনপ্রিয় শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের গাওয়া ‘সবকটা জানালা খুঁলে দাও না’ গানটি শুরু করলে হল ভর্তি দর্শক-শ্রোতার মাঝে পিন-পতন নীরবতা নেমে আসে। পরে প্রয়াত শিল্পী আইযুব বাচ্চুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে দাঁড়াতে অনুরোধ করলে উপস্থিত সকল দর্শক-শ্রোতা দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় নোবেল আইয়ুব জনপ্রিয় গান ‘সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে’ গানটি গেয়ে শোনান।
এছাড়া তিনি ভারতীয় শিল্পী মান্না দে’র গাওয়া ‘কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আর নেই’, অঞ্জন দত্তের ‘চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো’, নচিকেতার গাওয়া ‘ছেলে আমার মস্ত মানুষ মস্ত অফিসার’, বাংলাদেশের নগর বাউল জেমসের ‘বাবা’, ‘ভিগি ভিগি’ এবং ‘তুমি মিশ্রিত লগ্ন মাধুরীর জলে ভেজা কবিতায়’ ইত্যাদি গান পরিবেশন করেন। গানের এক পর্যায়ে নোবেল বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, কখনও তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের কথা বলেননি, অথচ তাকে নিয়ে কোনো কোনো মহল নেতিবাচক মন্তব্য করেছে।
এর আগে ভারতীয় শিল্পী সঞ্চি মুখার্জি এবং স্থানীয় দু’টি ব্যান্ড দল শ্যাডো ড্রিমস ও চোরাবালি সঙ্গীত পরিবেশন করে দর্শকদের মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠানে ওয়াশিংটন ডিসি, ভার্জিনিয়া ও মেরিল্যান্ডের কয়েকশ’ দর্শক-শ্রোতা উপস্থিত ছিলেন।