আলুর জুস পানে কমবে অ্যাসিডিটি, ত্বক হবে সুন্দর!
আলু ছাড়া কি আর তরকারি জমে? ঝোল, ভুনা যাই হোক আলুর উপস্থিতি তরকারিকে করে আরও সুস্বাদু। কেবল স্বাদ বৃদ্ধি নয়, এর রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগুণও। যদিও যারা ডায়েট করেন তারা আলু খাওয়া থেকে বিরত থাকে।
আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে তামা, ভিটামিন বি, ম্যাংগানিজের মতো উপকারী সব উপাদান। এগুলো মানবদেহের স্বাস্থ্যকর রক্ত সঞ্চালনে উৎসাহ দেয়। এতে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান নামক উপদান যা ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। পাশাপাশি শরীরের জন্যও উপকারী এটি।
কেন খাবেন আলুর জুস?
আলুর জুস খেলে ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়। ত্বক হয়ে ওঠে লাবণ্যময়। এছাড়াও, আলুর জুস খেলে বাতের ব্যথা কমে। এই পানীয় দেহের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। নিয়মিত আলুর জুস খেলে দেহে পিএইচ এর মাত্রা থাকে নিয়ন্ত্রণে। যারা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য উপকারী এই জুস। প্রতিদিন ২ চামচ আলুর রস খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা কমে।
কীভাবে তৈরি করবেন?
দুই তিনটি তাজা আলু পরিষ্কার করে নিন। এবার আলুগুলো ঝুরি করে নিন। এরপর লিলেন কাপড় বা ছাঁকনির সাহায্যে একটি গ্লাসে আলু থেকে রস বের করে নিন। এরপর আলুর রসটুকু পান করুন।
বিকল্প পদ্ধতিতেও আলুর জুস তৈরি করতে পারেন। এক্ষেত্রে দুই থেকে তিনটি আলু বাছাই করে কেটে নিন। টুকরোগুলো ব্লেন্ডারে মসৃণ হওয়া অব্দি ব্লেন্ড করুন। সেখান থেক নিঃসৃত রস বা জুস একটি পাত্রে রাখুন। এরপর পান করুন।
চাইলে এই জুসের সঙ্গে যোগ করতে পারেন অ্যালোভেরার রসও। তাতে উপকারিতা মিলবে আরও বেশি। নিয়মিত আলুর জুস পান করলে আপনি পাবেন সুন্দর ত্বক। সেসঙ্গে শারীরিক অসুস্থতাগুলো থেকেও মিলবে মুক্তি।
সাবধানতা:-
উচ্চ মাত্রায় পটাশিয়াম রয়েছে আলুতে। তাই কেউ যদি লো পটাশিয়াম ডায়েটে থাকেন তবে আলুর জুস খাওয়ার পূর্বে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নিন।