ওরাল ক্যান্সার : কেন হয় ,কাদের হয়?
সাধারণত মুখের অভ্যন্তরে যে ক্যান্সার হয়ে থাকে তাকে ওরাল ক্যান্সার বলা হয়। ঠোঁট, জিহ্বা, মুখের ভেতরের ওপর বা নীচের অংশে ওরাল ক্যান্সার হতে পারে। তবে নিচের ঠোঁটে ওরাল ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা বেশি।
ওরাল ক্যান্সারে বেশ কিছু প্রভাবক রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো কী-
বয়স:-
বয়স বাড়ার সাথে সাথে ওরাল ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ৪৫ বছরের বেশি মানুষের ওরাল ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা বেশি।
লিঙ্গ:-
মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের ওরাল ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি। ওরাল ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ পুরুষ।
বসবাসের অবস্থান:- ডাক্তারদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আমেরিকা ও আফ্রিকায় বসবাসকারী ব্যক্তিরা অন্য যেকোন দেশের মানুষের চেয়ে বেশি ওরাল ক্যান্সার ঝুঁকিতে থাকেন।
এছাড়াও পরিবারের মা-বাবার ওরাল ক্যান্সার থাকলে সন্তানেরও তা হবার সম্ভবনা থাকে। এবং, পূর্বে ওরাল ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন এমন ব্যক্তির পুনরায় ওরাল ক্যান্সার হতে পারে।
ওরাল ক্যান্সারের প্রভাবকগুলো সম্পর্কে তো জানা গেল এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক ওরাল ক্যান্সার হওয়ার জন্য দায়ী কী কী উপাদান-
ধূমপান করা:-
ওরাল ক্যান্সারসহ নানা ধরণের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায় হল ধূমপান বন্ধ করা। তামাকের ব্যবহার ওরাল ক্যান্সারের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয় অনেকখানি।
অতিরিক্তমাত্রায় অ্যালকোহল গ্রহণ:-
অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক এ কথা কারোরই অজানা নয়। যারা অ্যালকোহল পান করে থাকেন তাদের ওরাল ক্যান্সার হবার সম্ভবনা বেশি। আর মদ বা অ্যালকোহলের সাথে সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তো কথাই নেই!
অতিরিক্ত সুর্যতাপ:-
অতিরিক্ত সূর্যের তাপ যে কেবল ত্বকের ক্ষতি করে তাই নয়, বরং ওরাল ক্যান্সারেরও কারণ হতে পারে এটি। বিশেষ করে, অতিরিক্ত সুর্যতাপে ঠোঁটের ক্ষতি হয়ে থাকে।
উষ্ণ পানীয়:-
চা/কফির মতো উষ্ণ পানীয় তো পান করতেই পারেন তবে মাত্রার বেশি উষ্ণ পানীয় না পান করাই উত্তম। এটি ওরাল ক্যান্সারের সম্ভবনা বাড়িয়ে দেয়।
সাধারণত সার্জারির মাধ্যমে ওরাল ক্যান্সারের চিকিৎসা করা হয়। রোগীর অবস্থা বেশি জটিল হলে কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দেয়া হয়ে থাকে।