স্বাস্থ্য

কচু শাকের পুষ্টিগুণ সত্যিই অবাক করে

প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণের যোগান ছাড়াও এ শাক বিভিন্ন রোগের পথ্য হিসেবেও ভূমিকা রেখে আসছে। পর্যাপ্ত অাঁশ থাকায় কচু শাক মনুষ্যদেহের পরিপাকতন্ত্রের প্রক্রিয়ায়ও কার্যকর ভূমিকা রাখে। কচু শাক ছাড়াও এর মাটির নিচের অংশটিতেও (কচুমুখী) রয়েছে স্বাস্থ্যকর পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ উপাদান। স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও রোগ প্রতিরোধে কচুশাকেরও জুড়ি নেই।

সাধারণত আমরা দু’ধরনের কচুশাক ভোজন করে থাকি। সবুজ কচুশাক ও কালো কচুশাক।

স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের হিসাব মতে প্রতি ১০০ গাম কালো কচুশাকে থাকে

৬.৮ গ্রাম প্রোটিন

৮.১ গ্রাম শর্করা

২.০ গ্রাম চর্বি

৪৬০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম

৩৮.৭ মিলিগ্রাম লৌহ

০.০৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১ (থায়ামিন)

০.৪৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ (রাইবোফ্লোবিন)

৬৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি

৭৭ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি

বাংলাদেশে শাক হিসেবে কচু শাক বেশ জনপ্রিয়। আয়রনসমৃদ্ধ বলে এর সমাদরও বেশি। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে সব ডাক্তাররাই কচু শাক খাওয়ার পরামর্শ দেন।

কচু শাকে আছে প্রোটিন, চর্বি, ক্যালসিয়াম, শর্করা, আয়রন, খাদ্যশক্তি, ভিটামিন এ, বি৬ ও সি। সাধারণ কচুর ডগা এবং কালো রঙয়ের কচু শাকে আয়রন থাকে প্রচুর পরিমাণে।

রক্তশূন্যতায় ভোগা রোগীদের জন্য কচু শাক খাওয়া একরকম আবশ্যক।

যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাঁরা প্রচুর কচু শাক খেতে পারেন। কারণ কচুতে আছে অনেক আঁশ। যা খাবার সহজে হজম করতে সাহায্য করে।

সারা দেহে অক্সিজেনের সরবরাহ বজায় রাখতে কচু শাকের জুড়ি নেই। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে এমনিতেই শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ কমে যায়। সেই সরবরাহ সচল রাখতে কচু শাক অনেক বেশি কার্যকর।

কচু শাকে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকায় এ শাকের লৌহ দেহ কর্তৃক সহজে আত্তীকরণ হয়। প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দেয়া ছাড়াও প্রাচীনকাল থেকে কচুকে বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। মুখী ও পানিকচুর ডগা দেহের রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

তাছাড়া জ্বরের রোগীকে শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য দুধকচু খাওয়ানো হয়। ওলকচুর রস, উচ্চরক্তচাপের রোগীকে প্রতিষেধক হিসেবে খাওয়ানো হয়। আবার মান কচুর ডগা ও পাতা বাতের রোগীকে খাওয়ানোর প্রথা এ দেশের ঘরে ঘরে প্রচলিত রয়েছে। কচু শাকে পর্যাপ্ত আঁশ থাকায় এটি দেহের হজমের কাজে সহায়তা করে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button