ছোঁয়াচে রোগ স্ক্যাবিস বা খোসপাঁচরা
খোসপাঁচড়া ত্বকের একটি ছোঁয়াচে রোগ। যে কেউ যেকোনো সময় এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে বর্ষাকালে এর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। একজন আক্রান্ত হলে পুরো পরিবার এমনকি ঘনবসতিপূর্ণ ঘরে একত্রে বসবাস করে যেমন স্কুল, হোস্টেল, বস্তি এলাকায় তাদের মধ্যে যে কেউ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। চুলকানি হলো প্রধান উপসর্গ আর রাতে সেই চুলকানি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এমনকি ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে ঘা হতে পারে।
সারকপটিস স্ক্যাবি বা ইট্চ মাইট নামক একটি ছোট পোকা এই রোগের জন্য দায়ী। এরা চামড়ার ভিতর দিয়ে ক্ষত তৈরি করে চলতে থাকে আর চামড়ায় ব্যকটেরিয়া সংক্রমন হয়ে সেখানে পুঁজ তৈরি হয়।
কীভাবে ছড়ায়?
অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন-এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে একসঙ্গে বিছানায় শুলে কিংবা ব্যবহারকৃত কাপড় অন্য কেউ ব্যবহার করলে খুব সহজেই এ রোগ ছড়াতে পারে। কারণ জীবাণুটি ব্যবহৃত কাপড়ের মধ্য দুই দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। শিশু-কিশোরেরাই এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।
তবে কিছু সাধারণ নিয়মকানুন যেমন: পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নিয়মিত গোসল ইত্যাদি মেনে চললে এসব রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। রোগটি একবার হয়ে গেলে তাই পরিবারের বা হোস্টেলের সবারই একসাথে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। একা চিকিৎসা করলে ভাল ফল পাওয়া যায় না।
এই সময়ের সচেতনতা :
* এ সময় ভারী জামা-কাপড় না পরে হালকা রঙের সুতি পাতলা জামা পরুন। ঘামে ভিজে গেলে দ্রুত পাল্টে নিন। ভেজা কাপড় পরে থাকলে ছত্রাক সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি।
* প্রয়োজনে দিনে দুবার গোসল করুন। জীবাণুনাশক সাবান ব্যবহার করতে পারেন। ঘামে বা বৃষ্টিতে ভিজলে ত্বক ধুয়ে শুকিয়ে নিন।
* এই সময় সারা দিন জুতা-মোজা না পরে বরং খোলা স্যান্ডেল পরা ভালো। তবে খালি পায়ে হাঁটবেন না। রাস্তায় এখন যত্রতত্র নোংরা পানি জমে আছে। পায়ের ত্বককে এই নোংরা পানি থেকে বাঁচিয়ে রাখুন। কেননা, এই পানিতে রয়েছে হাজার রকমের জীবাণু।
* ভেজা চুল ভালো করে শুকিয়ে নিয়ে তবে বাঁধবেন, নইলে মাথার ত্বকেও সমস্যা হতে পারে।
* বাড়িতে কারও ছত্রাক সংক্রমণ হয়ে থাকলে শিশুদের তার কাছ থেকে দূরে রাখুন।