স্বাস্থ্য

ধীরে হাঁটলে চেহারায় দ্রুত বয়সের ছাপ পড়ে

নিজের সুস্বাস্থ্য নিয়ে সবাই ভাবেন। আর যদি বয়স ৪০ বছর পেরিয়ে যায়, তাহলে অনেকেই স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি বেশি ভাবা শুরু করে দেয়। এমনকি হাঁটা বাড়িয়ে দেয়। করবেই না কেন, এই বয়সে হাঁটাহাঁটির গতির ওপর অনেক বিষয় নির্ভর করে। সম্প্রতি গবেষকরা জানিয়েছেন, হাঁটার গতির ওপর মস্তিষ্ক এবং শরীরের বয়স বাড়া নির্ভর করে।

গবেষকদের মতে, যারা ধীরে হাঁটেন, তাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা দ্রুত কমে যায়, দ্রুত বয়স বাড়ে এবং চেহারায় দ্রুত বয়সের ছাপ পড়ে যায়।

আগে থেকেই প্রচলন আছে চিকিৎসকদের মাঝে হাঁটার গতি পর্যবেক্ষণ করে স্বাস্থ্যের সম্পর্কে ধারণা করার। বিশেষ করে ৬৫ বছর পেরিয়ে যাওয়া রোগীদের হাঁটার গতি দেখে দেহের ভারসাম্য, মাংসপেশির শক্তি, দৃষ্টিশক্তি, ফুসফুসের কর্মক্ষমতা এবং মেরুদণ্ডের অবস্থা সম্পর্কে ধারণা করা হয়।

কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞানে ধীরে হাঁটার সঙ্গে দ্রুত বয়স বাড়ার বিষয়টি বেশ চমকপ্রদ বলে মনে করা হচ্ছে।

এই গবেষণাটি চালানো হয়েছে নিউজিল্যান্ডের এক হাজার মানুষের ওপরে। যাদের জন্ম সত্তরের দশকে। খবর বিবিসি।

কিংস কলেজ লন্ডন এবং আমেরিকার ডিউক ইউনিভার্সিটির এই গবেষণাটির মূল গবেষক প্রফেসর টেরি ই মোফিট বলেছেন, ধীরে হাঁটায় বয়স বাড়ে।

তিনি বলেন, যারা দ্রুত হাঁটেন, তাদের তুলনায় ধীরে হাঁটা ব্যক্তিদের ফুসফুস, দাঁত এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকে। ধীরে হাঁটলে দ্রুত স্মৃতিশক্তিও লোপ পায়।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button