স্বাস্থ্য

মাস্ক কখন পরবেন, কখন পরবেন না

করোনাভাইরাস অত্যন্ত ছোঁয়াচে হওয়ায় এটি প্রতিরোধে বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, বাজার কিংবা অফিস যেখানেই যান না কেন মাস্ক পরাটা অত্যন্ত জরুরি।  লকডাউন উঠে গেলেও নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে দীর্ঘ সময় এটি ব্যবহার করতে হবে।

তবে ফাঁকা জায়গায় একা ভারী কাজকর্ম বা শরীরচর্চা করার সময় মাস্ক না করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ব্যায়ামের সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ব্যায়াম করুন, তখন মাস্ক পরার দরকার নেই। বরং ব্যায়ামের সময় মাস্ক পরলে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। যাদের ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ বা সিওপিডি আছে, হাঁপানির সমস্যা, ফুসফুসের কোনও অসুখ আছে তাদেরও ভারী কাজ বা শরীরচর্চার সময় মাস্ক না পরার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের ক্ষেত্রেও যাদের অ্যালার্জিজনিত হাঁপানি বা জন্মগত হার্টের অসুখ-সহ কোনও সমস্যা আছে,মাস্ক ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

আজকাল করোনার  কারণে অনেকেই এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহার করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের মাস্ক ব্যবহারের নানা ধরনের অসুবিধা আছে। যেমন-এন-৯৫ বা টাইট মাস্ক পরে গাড়ি চালানোর সময় নানা সমস্যা হতে পারে।  এই মাস্কের কারণে শরীরে এক দিকে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি কার্বন-ডাই অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মস্তিষ্কে কিছুটা নিস্তেজ হয়ে পড়ে। অনেক সময় আবার মাস্ক থেকে চশমার কাচ ঝাপসা হয়ে যাওয়ায় গাড়ি বা বাইক চালাতে অসুবিধে হয়।  এতে হঠাৎ দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তবে গাড়িতে অন্য কেউ থাকলে মাস্ক পরতে হবে। কিন্তু তা টাইট না হয়ে সাধারণ মাস্ক হলেই ভালো।  সেক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার করলে আরও সাবধানে গাড়ি চালাতে হবে।  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফাঁকা রাস্তায় একা গাড়ি, সাইকেল বা মোটর সাইকেল চালানোর সময় মাস্ক না পরলেও চলে। তবে ভিড় জায়গায় গেলে বা বাজার-দোকান গেলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button