যেভাবে গরুর মাংস রান্না করলে কমবে স্বাস্থ্যঝুঁকি
যারা ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ, কিডনী সমস্যা ভুগছেন, তারা ভাবেন গরু বা খাসির মাংস খাওয়া তাদের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। জানেন কি, গরুর মাংসেও রয়েছে নানা ধরনের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কিছু নিয়ম মেনে গরুর মাংস রান্না করে সাদা ভাত, পোলাও, আটার রুটি, কিছুটা রঙ্গিন সবজি বা সালাদ এবং খাবার পর যদি কিছুটা টক দই রাখা যায় তবে তা স্বাস্থ্যকর। তবে অবশ্যই তা পরিমাণ মতো। এক্ষেত্রে মাঝারি সাইজের চার থেকে পাঁচ টুকরা মাংস অনায়াসে খাওয়া যেতে পারে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক যেভাবে গরুর মাংস রান্না করলে কমবে স্বাস্থ্যঝুঁকি-
১. মাংসটি যদি ছোট ছোট টুকরা করে চর্বির অংশ বাদ দিয়ে কেটে রান্না করা যায় তবে তা স্বাস্থ্যসম্মত।
২. টকদই বিভিন্ন ধরনের মসলা দিয়ে ছোট টুকরো করা মাংস যদি ভালোভাবে মাখিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রেখে তারপর একবারে চুলায় বসিয়ে রান্না করা যায় তবে তুলনামূলক তেল কম লাগে এবং খুব দ্রুত রান্না হয়ে যায়, আর তা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
৩. ভিনেগার বা লেবুর রস এবং কাঁচা পেঁপে বাটা সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব মসলা ব্যবহার করে মাংস রান্না করলে মাংস স্বাভাবিকভাবেই খুব নরম হয়ে যায়। এতেও তেল খুব কম লাগে।
৪. চর্বির অংশ বাদ দিয়ে সলিট মাংস যদি পাতলা চারকোণা করে কেটে সস, বিভিন্ন মসলা, লেবুর রস বা ভিনেগার,সামান্য তেল দিয়ে মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে যদি ফ্রাই প্যান বা তাওয়ায় স্টেক বা গ্রীল করা যায় তবে তাও স্বাস্থ্যসম্মত।
৫. মাংস খাওয়ার পর পরই বিশ্রাম না নিয়ে কিছুটা হেঁটে এরপর বিশ্রাম নেয়া উচিত। এতে হজম শক্তিও ভালো হবে সেই সঙ্গে ক্ষতিকর প্রভাবও পড়বে না শরীরে।