বৃষ্টি, বন্যা বাড়িয়েছে মূল্যস্ফীতি
বৃষ্টি, বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণে চলতি বছরের জুলাই মাসে সবখাতে মূল্যস্ফীতির হারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সাধারণ, খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির চাপে পড়েছেন দেশবাসী।
চলতি বছরের জুলাই মাসে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়েছে। গত মাসে এই খাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিলো ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। এছাড়াও বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থলী, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবাখাতের মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
চলতি বছরের জুলাই মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ হয়েছে। যা গত জুন মাসে ছিলো ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনে কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া মার্চ মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেন।
প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, জুলাই মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ।
তথ্যে আরো দেখা গেছে, বছরওয়ারি পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে মে মাসে ডাল, চিনি, মুড়ি, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, ফল, তামাক, দুগ্ধজাতীয় পণ্য এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর দাম বেড়েছে। মাসওয়ারি ডিম, শাক-সবজি ও মসলা জাতীয় পণ্যের দামও চড়া হয়েছে।
এদিকে, গ্রামে জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬০ শতাংশে, (জুন মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ)। আর খাদ্য বহিভূর্ত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ (জুনে ছিল ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ)।
সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে শহরেও, ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এর পরিমাণ জুন মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। শহরে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। আর খাদ্য বহিভূর্ত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ, যা এর আগের জুন মাসে ছিল ৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ।