আন্তর্জাতিক

অতিক্ষুদ্র ভাইরাস বিশ্বকে হাঁটু ভেঙে বসতে বাধ্য করেছে: গুতেরেস

বিশ্বে একটি অতিক্ষুদ্র ভাইরাস আমাদেরকে হাঁটু ভেঙ্গে বসতে বাধ্য করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের কিংবদন্তি নেতা ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার ১০২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

গুতেরেস বলেছেন, বৈশ্বিক অসমতা প্রকাশের ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস জ্বলজ্বলে স্পটলাইট। এ ভাইরাস সমাজের ‘ভঙ্গুর কঙ্কালটিকে’ প্রকাশ করে দিয়েছে। এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বিশ্বের ১০ কোটি মানুষকে চরম দারিদ্রের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

দারিদ্র্যদূরীকরণ এবং বৈষম্য সঙ্কুচিত করায় যেসব অঞ্চল অগ্রগতি করছিল, মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই তারা বহু বছর পিছিয়ে গেছে বলে তিনি জানান।

করোনাভাইরাস মহামারিতে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত হয়েছে অন্তত ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ। মারা গেছে ছয় লাখেরও বেশি। এছাড়া কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। গুতেরেসের মতে, মহামারির কারণে অর্থনৈতিক সংকট বেশি অনুভূত হচ্ছে অস্থায়ী চাকরিজীবী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও নারীদের মধ্যে।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে ভয়াবহ মন্দার মুখোমুখি হয়েছি আমরা। এর কারণে আরো ১০ কোটি মানুষ চরম দরিদ্র্যতায় পড়তে পারে। ঐতিহাসিকভাবে দুর্ভিক্ষও দেখতে পারি।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, করোনাভাইরাস হচ্ছে এক্স-রে, যার কারণে আমাদের গড়ে তোলা সমাজের ভঙ্গুর কঙ্কাল বেরিয়ে পড়েছে। আমরা বর্ণবাদ-উত্তর বিশ্বে যে বিভ্রমের মধ্যে বাস করি… এটি সব মিথ্যাচার ও প্রতারণা প্রকাশ করে দিচ্ছে। আমরা সবাই এক নৌকায় আছি, এমন কল্পকাহিনী উন্মোচিত করছে।

তিনি জানান, মাত্র ২৬ শীর্ষ ধনীর কাছে বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যার সমান সম্পদ রয়েছে। গুতেরেস বলেন, সমাজে সুস্পষ্ট অসমতা ও বৈষম্যের কারণে লোকেরা ধৈর্য হারিয়ে ফেলছে।

তবে অর্থ-সম্পদই অসমতা নির্ধারণের একমাত্র পরিমাপক নয়। এক্ষেত্রে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের নির্যাতনে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখ করেন। জাতিসংঘ প্রধানের কথায়, ‘যথেষ্ট হয়েছে, এগুলো তারই প্রতীক।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button