সারাদেশ

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ঘরবাড়ী ভাংচুর, ৯ শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কর্তন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : এক সংখ্যালঘু পরিবারে জমিসংক্রান্ত মামলার জেরকে কেন্দ্র করে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় ঘরবাড়ী ভাংচুর লুটপাটের পর ও ৯ শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কর্তন করেছে প্রতিপক্ষের দৃস্কৃতিকারীরা। এ ঘটনায় খোলা আকাশের নিচে জীবনযাপন করছের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা। মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেয়ায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মামলার বাদীরা।

মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফুলবাড়ী উপজেলায় রাবাইতারী গ্রামের মৃত ধীরেন্দ্র নাথ ভদ্রের ছেলে ধীনেশ চন্দ্র ভদ্র সাথে একই এলাকার মৃত সুরেন্দ্র নাথের ছেলে সুবল চন্দ্র ও আঃ রহমানের ছেলে জুরান আলীর যোগসাজসে ১১ একর ৩০ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিসে বৈঠক হলেও মীমাংসাা করতে পারেনি মাতব্বরা। পরে আদালতে মামলা করেন তারা।
আদালতে ১৭ বছর মামলা চলার পর এক বছর আগে ওই জমির রায় পান ধীরেন্দ্র নাথ। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ভুমি কমিশনার ধীরেন্দ্র নাথের ওয়ারিশদেরকে রায়কৃত জমি বুঝিয়ে দেন। তখন থেকে তিনটি পুকুরসহ জমি ভোগদখল করে আসার পাশাপাশি ৯শ শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ পুকুরের ধারে রোপন করেন তারা।

এর মধ্যে গত মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) কোন কিছু বুঝে উঠার আগে সুবল চন্দ্র ও জুরান আলীর নেতৃতে অর্ধশতাধিক দৃস্কৃতিকারীরা দেশি অস্ত্র নিয়ে ধীরেন্দ্র নাথের ঘরবাড়ী আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট করেন। এসময় কর্তন করা হয় ৯ শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। উপায়ান্ত না পেয়ে দিশেহার হয়ে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থরা পরিবারের সদস্যরা। এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায় ।
এ ব্যাপারে ধীরেন্দ্র নাথের কথা হলে তিনি জানান, ১৭ বছর মামলা চলার পর এক বছর আগে কোর্টের রায় পাই আমরা। বিজ্ঞ আদালতের নিদের্শ কমিশনারের মাধ্যমে রায়কৃত জমি লাল নিশান টাঙিয়ে আমাদের বুঝে দেয়। সে জমিতে মাছ চাষসহ বোরো ক্ষেত ও গাছ লাগানো হয়েছে। হঠাৎ করে আমাদের সেই গাছ কর্তন ও ভাংচুর করে এবং ঘরবাড়ী ভেঙ্গে মালামাল লুট করে নিয়ে য়ায়।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজীব কুমার রায় ঘটনার সত্যতা শিকার করে জানান, ঘরবাড়ী ভাংচুর ও গাছ কর্তন করার অপরাধে ফুলবাড়ী থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীদেরতে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে ।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button