সারাদেশ

করোনা: রৌমারীতে কর্মহীন শ্রমীজীবী মানুষ

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারীতে করোনাভাইরাসের আতঙ্কে দিন দিন কর্মহীন হয়ে পড়ছে বিভিন্ন স্থানে কাজ করা হতদরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষজন। ভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে একে একে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে দিনমুজুরদের কাজ। কিন্তু যে মানুষগুলো দিন আনে দিন খায় তাদের পরিবারগুলো অর্ধাহারে বা অনাহারে পড়ার শঙ্কায় পড়েছেন। ওই শ্রমজীবী মানুষজনের দাবি পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হওয়ার আগেই তাদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে সরকার যেন অন্তত দুবেলা খাবারের ব্যবস্থা করেন। অন্যথায় না খেয়ে দিনযাপন করতে হবে তাদের।

দাঁতভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সালাম মিয়া বলেন, ‘চারদিকে করোনার কথা শুনি। আর কত দিন এমনে চলব? আবার কবে নাগাদ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারুম। আমরা এই করোনার আতঙ্ক থেকে মুক্তি চাই।’
স্থানীয় ভ্যানচালক নুরুনবী হোসেন বলেন, ‘ঘর থেকে বের না হওয়ার কথা শুনেছি। কিন্তু পেটের দায়ে ভ্যান নিয়ে ঘর থেকে বের হয়েছি। দেখি কোনো যাত্রী পাই কি না? কিন্তু রাস্তায় কোনো লোকজনই নেই। লোকজন থাকলেও থানার পুলিশ আইলে ভাইগ্যা যায়। এতে এমন হইলে আমরা কি করে চলবো, কি খাবো।’
হরিণধরা গ্রামের ট্রাক্টর মালিক শহিবর রহমান, লাবলু ও মতিয়ার রহমান বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের ভয়ে শ্রমিকদের কাজ বন্ধের করে দেওয়া হয়েছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। তাদের এলাকার অনেকেই এখন কাজ না পেয়ে কর্মহীন হয়ে বিপাকে পড়েছে। তারা বলেন, সরকার যদি আমাদের কথা না ভাবে তাহলে না খেয়ে থাকতে হবে।’

শুধু নরুনবী নয়, কৃষি শ্রমিক, অটোভ্যান-ট্রাক্টর চালক ও রিকশাচালকের মতো যারা একদিন কাজ না করলে পেটে ভাত যায় না, তারা অর্ধাহারে অনাহারে থাকার আশঙ্কায় রয়েছেন। হতদরিদ্র মানুষগুলো এখন তাই সরকারের দিকে তাকিয়ে। তাদের দাবি দরিদ্র কর্মহীন মানুষগুলোর তালিকা করে সরকার যেন খাদ্যের বিশেষ ব্যবস্থা করে।

শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান কে এম ফজলুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সরকারিভাবে দুই মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করেছে। কিন্তু করোনার এসময়ে প্রায় লোকজন কাজ না পেয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাই তাদের (জনগণ) কথা ভেবে আরো ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল-ইমরান বলেন, অসহায়দের সরকারিভাবে ত্রাণ দেওয়ার প্রস্ততি চলছে। পাশাপাশি উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রত্যেক চেয়াম্যানের নামে দুই মেট্রিক টন করে চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button