আন্তর্জাতিক

ইরানের সামরিক মহড়া, বিশেষ বার্তা শত্রু ও মিত্রদের প্রতি

ইরানের সেনাবাহিনী পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশের উরুমিয়েতে আকস্মিক সামরিক মহড়া শুরু করেছে। যুদ্ধের প্রস্তুতি, শক্তি প্রদর্শন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করে এ মহড়া শুরু হয়।

গতকাল থেকে শুরু হওয়া এ মহড়ায় দ্রুতগতিতে আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা ও হামলা চালানোর পরীক্ষা চালানো হয়। নতুন নতুন প্রযুক্তির সমরাস্ত্র ব্যবহার ও  পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়। এ ছাড়া, যুদ্ধে ব্যবহৃত সঠিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার মতো আধুনিক বোমা ও গোলাবারুদের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার নওজার নেয়ামতি বলেছেন, “বর্তমানে স্থল বাহিনী অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত এবং সামরিক ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। তারা শত্রুর যেকোনো হুমকি মোকাবেলায় নিজেদের নতুন নতুন প্রযুক্তির সমরাস্ত্র পরীক্ষা করবে।”

প্রতি বছর সামরিক মহড় যে কোনো দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ ক্ষেত্রে ইরান পিছিয়ে নেই। দু’টি লক্ষ্যে ইরান এসব মহড়া চালায়। প্রথমত, নতুন নতুন সামরিক অস্ত্রশস্ত্রের পরীক্ষা চালানো এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে ইরানের বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা। আর ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর মহড়ার দ্বিতীয়ত লক্ষ্য হচ্ছে, প্রতিবেশীসহ এ অঞ্চলের সব দেশকে শান্তি ও বন্ধুত্বের বার্তা পৌঁছে দেয়া। আর শত্রুদেরকে এ বার্তা পৌঁছে দেয়া যে ইরানের ব্যাপারে তারা যেন কোনো রকম ভুল না করে।

সম্পূর্ণ নিজস্ব শক্তি ও সামর্থের ওপর ভর করে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠেছে এবং আত্মরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা এ বাহিনীর লক্ষ্য। বর্তমানে ইসলামি ইরান পশ্চিম এশিয়ার মানুষের মনে আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

ইরানের ইসলামি বিপ্লবের সমসাময়িককালের ঘটনাবলী লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ইরান কখনোই কোনো যুদ্ধ শুরু করেনি বরং সবসময়ই শত্রুর হামলা মোকাবেলায় আত্মরক্ষা করেছে। ইরান এ অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তাকে নিজের শান্তি ও নিরাপত্তা বলে মনে করে। আর এ কারণেই ইরান তার সামরিক শক্তিকে ঢেলে  সাজিয়েছে।

পারস্য উপসাগর ও পশ্চিম এশিয়ায় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা ইরানের প্রধান নীতি এবং এ কারণে এ অঞ্চলের পানি সীমায় নিরাপত্তা রক্ষায় ইরান আন্তরিকভাবে ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অতীত ইতিহাস ঘাটলেও দেখা যায় ইরান যতবেশী সামরিক শক্তিতে বলিয়ান হয়েছে ততবেশী আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার জোরদার হয়েছে। বর্তমানেও পশ্চিম এশিয়া যখন পাশ্চাত্যের সামরিক আগ্রাস ও ষড়যন্ত্রের শিকার তখন ইরানের সামরিক শক্তি এ অঞ্চলের জাতিগুলোর জন্য আশিবার্দ হয়ে এসেছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button