আন্তর্জাতিক

করোনায় বিশ্বখ্যাত এইচআইভি বিজ্ঞানী গীতা রামজির মৃত্যু

এইচআইভি-এইডসের প্রতিষেধক নিয়ে কাজ করা বিশ্বখ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানী অধ্যাপক গীতা রামজি করোনাভাইরাসজনিত কারণে মারা গেছেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার উপকূলীয় শহর দুরবানের একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। সংবাদ: আলজাজিরা।

এইচআইভি প্রতিরোধে প্রতিষেধক নিয়ে করা গবেষণা কাজের জন্য গীতা সারা বিশ্বে বিখ্যাত ছিলেন।

জাতিসংঘের এইচআইভি প্রোগ্রামের (ইউএন/এইডস) প্রধান উইনি বাইয়ানিমা বলেন, বিপুল সংখ্যক এইচআইভি-এইডস আক্রান্ত মানুষের দেশে কাজ করে যাওয়া এমন একজন বিজ্ঞানীর মৃত্যু বিরাট ক্ষতির।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর অংশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় তিন সপ্তাহের লকডাউন শুরু হয়েছে।

গীতার সহকর্মী ও বন্ধু গেভিন চার্চইয়ার্ড আজ (২ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার বিবিসিকে বলেন, ‘নারীদের এইচআইভি থেকে সুরক্ষা দেবে, এমন প্রতিষেধক নিয়ে তিনি অনেক দিন ধরে কাজ করছিলেন।’

এক বিবৃতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেপুটি প্রেসিডেন্ট ডেভিড মাবুজা বলেছেন, ‘অধ্যাপক গীতার মৃত্যুতে এইচআইভি-এইডসের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বিশ্বের লড়াই মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। তাকে হারানোর মাধ্যমে এইচআইভি মহামারীটির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক বিজয়ী যোদ্ধা হারিয়েছি আমরা।’

গীতা রামজি অরুম ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটি এইচআইভ-এইডস ও টিবির প্রতিষেধক উৎপাদন নিয়ে কাজ করে। তিনি তাঁর জীবনের বেশির ভাগ সময় ব্যয় করেছেন এইচআইভি-এইডসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য।

দক্ষিণ আফ্রিকার লাখ লাখ মানুষ মরণব্যাধি এ রোগে আক্রান্ত। এসব হতদরিদ্র মানুষের চিকিৎসায় স্বল্পমূল্যের ওষুধ না থাকায় প্রতিবছরই বিপুলসংখ্যক লোক বিনা চিকিৎসায় মারা যান।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button