কারবালায় ১৪ বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার খবর অস্বীকার করল ইরাক
ইরাকের কারবালায় ১৪ বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার খবরটি অস্বীকার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সোমবার রাতের ঘটনায় একজন ব্যক্তিও নিহত হননি বলে দাবি করেছেন কারবালার গভর্নর নাসিফ আল-খাত্তাবি।
কারবালায় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৪ বিক্ষোভকারী নিহত ও অন্তত ৮৬৫ জন আহত হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স, এএফপি ও আল আরাবিয়া টিভি চ্যানেল দাবি করার পর কারবালার গভর্নর এসব কথা বললেন।
নাসিফ আল-খাত্তাবি বলেন, কারবালা শহরে সোমবার রাতে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েক জন আন্দোলনকারী নিহত হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম যে খবর দিয়েছে তা ভিত্তিহীন। এসব গণমাধ্যম ইরাকে সহিংসতা উস্কে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মার্কিন আগ্রাসনে বিধ্বস্ত ইরাক নিজেকে আস্তে আস্তে গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে লাগামহীন দুর্নীতি ও ভয়াবহ বেকার সমস্যা সমাধানের দাবিতে শুরু হয় বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা বিক্ষোভ এখন সরকার পরিবর্তনের দাবিতে উত্তাল।
কিন্তু কঠোর অবস্থানে সরকার। শুরু থেকেই বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও প্রশাসন। পুলিশ-বিক্ষোভকারী সহিংসতায় এখন পর্যন্ত নিহত ২৪০। আহত ৮ হাজার।
সর্বশেষ সোমবার অন্তত ৫ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। এরপরই বাগদাদে অস্থায়ী কারফিউ জারি করে সেনাবাহিনী। নির্দেশনায় বলা হয়, মধ্যরাত থেকে রাজধানীতে গাড়ি-ঘোড়া এমনকি হেঁটে চলাচলও নিষিদ্ধ।
গ্রেফতারের হুমকি ও সহিংসতার আশঙ্কা সত্ত্বেও কারফিউ ভেঙেই রাস্তায় নামে বিক্ষোভকারীরা। মঙ্গলবার সকাল থেকেই বাগদাদের ঐতিহাসিক তাহরির স্কয়ারে দলে দলে যোগ দেয় ছাত্রছাত্রীরা। কেউ হেঁটে আবার কেউ গাড়ি চড়ে।
শহরের স্রোতের মতো ঢুকতে থাকে টুকটুক বলে পরিচিত তিন চাকার গাড়িগুলো। সেই সঙ্গে প্যা-পু আওয়াজে আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে তোলে। মূলত পুলিশের টিয়ারগ্যাস ও জলকামান ব্যবহার সত্ত্বেও পাঁচদিন ধরে তাহরির স্কয়ার দখলে রেখেছে বিক্ষোভকারীরা।