আন্তর্জাতিক

গণমাধ্যমই আমাকে মোদিবিরোধী বলার চেষ্টা করছে

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন অর্থনীতিতে সদ্য নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায়। এই সাক্ষাতের পর মঙ্গলবার তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যাতে বিতর্কের মধ্যে না জড়িয়ে পড়ি।

‘আমাদের একটি আন্তরিক এবং হৃদ্যতাপূর্ণ সাক্ষাৎ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি একটি কৌতুকের মাধ্যমে আলোচনা শুরু করেছেন। কৌতুকে তিনি বলেছেন, কীভাবে গণমাধ্যম আমাকে (অভিজিৎ) মোদিবিরোধী হিসেবে তুলে ধরার ফাঁদ তৈরি করছে’

অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় বলেন, তিনি টেলিভিশন দেখেছেন এবং তিনি আপনাদের (গণমাধ্যম কর্মীদের) সবাইকে দেখছেন। এবং তিনি জানেন আপনারা কি করার চেষ্টা করছেন।

চলতি বছরে স্ত্রী এসথার ডাফলো ও মাইকেল ক্রেমারের সঙ্গে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়। মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পর গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে যে সঙ্কট চলছে তা আশঙ্কাজনক এবং ভীতিকর।

‘এই সঙ্কট আশঙ্কাজনক এবং ভীতিকর। এটা নিয়ে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং দুঃসাহসিক পরিবর্তন দরকার।’

ভারতের ব্যাংক নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের (সিভিসি) তীব্র সমালোচনা করে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, সরকারি ব্যাংক খাতে সরকারের অংশীদারিত্ব কমিয়ে ৫০ শতাংশের নিচে আনা উচিত। যাতে এই কমিশন ব্যাংকে হস্তক্ষেপ এবং নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে।

ভারতের মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচকের ব্যাপারে এক প্রশ্নের কোনো জবাব দিতে রাজি হননি অভিজিৎ। তিনি বলেন, মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচকে আমার কোনো অবদান নেই এবং এটা আমাকে ছাড়াই ভালোভাবে চলছে। আমি যে বিষয়ের সঙ্গে জড়িত নই; সেবিষয়ে কথা বলতে চাই না।

নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এক টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘নোবেলজয়ী অভিজিতের সঙ্গে চমৎকার বৈঠক করেছেন তিনি। মানুষের ক্ষমতায়নে তার অবদান পরিষ্কারভাবে দৃশ্যমান। বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সুন্দর এবং বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button