লিড নিউজ

শ্রম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ: করোনার উপসর্গ দেখা দিলেই বাধ্যতামূলক ছুটি

তাপমাত্রা স্বাভাবিকের বেশি হলে এবং সর্দি, কাশি ও শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা থাকলে অর্থাৎ নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিলে কর্মীকে তাত্ক্ষণিকভাবে বাধ্যতামূলক ছুটি দিয়ে সংগনিরোধের (কোয়ারান্টাইন) ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি শ্রমিকের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিতে হবে সংশ্লিষ্ট মালিকপক্ষকে। শ্রমঘন শিল্পসংশ্লিষ্ট মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে চিঠি দিয়ে এমনই দিকনির্দেশনা দিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

কভিড-১৯-কে এরই মধ্যে বৈশ্বিক মহামারী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এ পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমঘন শিল্প, বিশেষত তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, নির্মাণ ইত্যাদি খাতে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আইইডিসিআরের জারীকৃত নির্দেশনাগুলো সঠিকভাবে প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।

চিঠিতে প্রতিষ্ঠানের সব কর্মীকে থার্মাল স্ক্যানার ব্যবহারের মাধ্যমে পরীক্ষা করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মালিকপক্ষকে অনুরোধ করা হয়। পাশাপাশি কোনো কর্মীর দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের বেশি হলে এবং সর্দি, কাশি ও শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা থাকলে অর্থাৎ নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিলে তাত্ক্ষণিকভাবে তাকে বাধ্যতামূলক ছুটি দিয়ে সংগনিরোধ (কোয়ারান্টাইন) ও চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ারও অনুরোধ করা হয়।

এছাড়া চিঠিতে কর্মক্ষেত্রে সবার নিয়মিত বিরতিতে হাত ধোয়া, আইইডিসিআর নির্দেশিত পন্থায় হাঁচি-কাশি দেয়া, করমর্দন বা কোলাকুলি থেকে বিরত থাকা, জনসমাগম পরিহার করা সর্বোপরি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার বিষয়ে কর্মীদের উৎসাহিত ও সহযোগিতা দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়।

এছাড়া কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক এবং শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে দেয়া চিঠিতে এসব বিষয় দ্রুততম সময়ে নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এ বিষয়ে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা নির্ধারণ এবং জরুরি সেবা দিতে ২৪ ঘণ্টার হটলাইন ফোন নম্বরসহ কন্ট্রোল রুম চালুরও নির্দেশনা দেয়া হয় চিঠিতে।

নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিহত করার জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, নিজে পরিষ্কার থাকার পাশাপাশি অনতকেও এ বিষয়ে সচেতন করে তুলতে হবে। যদি জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা হয়, তাহলে দ্রুত অসুস্থ ব্যক্তিকে চিকিৎসা কেন্দ্রে পৌঁছানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে আতংক নয়, সচেতনতা জরুরি।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button