আন্তর্জাতিক

ট্রেন দেরিতে আসায় যাত্রীরা পেল ক্ষতিপূরণ

ভারতীয় ট্রেনের সময়সূচি ও দেরি করা নিয়ে মানুষের ভোগান্তি কমাতে ট্রেনের জরিমানা ধার্য করল তেজস এক্সপ্রেস।

সদ্য চালু হওয়া এ ট্রেনটি ২ ঘণ্টা দেরি করায় ভুক্তভোগী যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে নজির গড়ল সবার।

তেজস এক্সপ্রেসে ভ্রমণকারী যাত্রীদের প্রত্যেককে ২৫০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। লখনউ থেকে ওই ট্রেনে চড়েন প্রায় ৪৫১ জন যাত্রী এবং প্রায় ৫০০ জন নয়াদিল্লি থেকে ওই ট্রেনে উঠেন। লখনউয়ের আইআরসিটিসি’র চিফ রিজিওনাল ম্যানেজার (সিআরএম) অশ্বিনী শ্রীবাস্তব বলেন, আমরা সমস্ত যাত্রীদের মোবাইল ফোনে একটি লিঙ্ক পাঠিয়েছি যাতে তারা ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন। যারা আবেদন করবেন তারা টাকা ফেরত পাবেন।

৪ অক্টোবর লখনউ থেকে চালু হয় এই ট্রেনটি। তেজস এক্সপ্রেস হলো ভারতীয় রেলের প্রথম বেসরকারি ট্রেন যা ভারতীয় রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন (IRCTC) দ্বারা পরিচালিত।

ট্রেন দেরি করলে যাত্রীরা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন ভারতের ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম! ক্ষতিপূরণ তখনই দেয়া হয় যখন ট্রেন নির্দিষ্ট সময়সূচির পরে গন্তব্যস্থলে পৌঁছবে। যদি ট্রেন দেরিতে যাত্রা শুরু করেও নির্দিষ্ট সময়ে স্টেশন যাত্রীদের পৌঁছে দিতে পারে তবে আর ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না।

শনিবার তেজস এক্সপ্রেস ভোর ৬ টা ১০ মনিটে লখনউ থেকে ছাড়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে প্রস্থানের পরিবর্তে তা সকাল ৮.৫৫ মিনিটে লখনউ থেকে যাত্রা শুরু করে। এবং বেলা ১২.২৫-এর পরিবর্তে ৩.৪০ মিনিটে নয়াদিল্লিতে পৌঁছয়। নয়াদিল্লি থেকে ফের বেলা ৩.৩৫-এর পরিবর্তে তা ৫.৩০ মিনিটে রওনা হয়।

এই বিলম্বের মূল কারণ ছিল ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ। নির্দিষ্ট যাত্রার আগে যে কোনোও ট্রেনের প্রাথমিক রক্ষণাবেক্ষণ করতেই হয় নিয়ম অনুসারে। শনিবার ভোর চারটে নাগাদ তেজসের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হতে পারেনি কারণ ইয়ার্ডে থাকার সময় লখনউ স্টেশনেই ট্রেনের একটি কোচ বেলাইন হয়ে পড়ে।

ট্রেনটির বিলম্বের ফলে মানুষের বিরক্তি বা ক্ষোভ পুষিয়ে দিতে যাত্রীদের অতিরিক্ত চা, দুপুরের খাবারও পরিবেশন করা হয়েছিল। যাত্রীদের দেয়া রিফ্রেশমেন্ট প্যাকেটে বড় বড় করে লেখা হয়েছিল ‘বিলম্বের জন্য দুঃখিত’। ট্রেন দেরি যাত্রা শুরু করা হয়েছিল বলে যাত্রীদের উদ্দেশে বারেবারে ঘোষণাও করা হয়েছিল।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button