আন্তর্জাতিক

দুর্নীতির অভিযোগে তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

তিউনিশিয়ার প্রধানমন্ত্রী এলিস ফখফখ পদত্যাগ করেছেন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর বুধবার তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন।

দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

সংবাদ মাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, এলিস ফখফখের বিরুদ্ধে একদিকে অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত চলছে। অন্যদিকে দেশটির প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল এন্নাহদা’র ১০৫ জন সংসদ সদস্য তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব তুলেছে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিদ্যমান রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব যেন আর না বাড়ে; সেজন্য পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফখফখ।

২০১৯ সালের অক্টোবরের তিউনিসিয়ার সাধারণ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয় দেশটির ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল এন্নাহদা। তবে সরকার গঠনের মতো পর্যাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয় দলটি।

এ নিয়ে চার মাসের অচলাবস্থার পর সর্বশেষ গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক অর্থমন্ত্রী এলিস ফখফখ। এন্নাহদা-ও তাকে সমর্থন দেয়। তবে সম্প্রতি তার শেয়ার রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় কাজের জন্য চুক্তিবদ্ধ হলে

সমালোচনার ঝড় উঠে। এক পর্যায়ে তার প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় পার্লামেন্টের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল এন্নাহদা। মূলত দলটির পক্ষ থেকে অনাস্থা আনার পরই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন ফখফখ।

বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদকে এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন একজনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন করতে হবে যিনি নতুন সরকার গঠনের জন্য দুই মাস সময় পাবেন এবং সংসদের মাধ্যমে তা পাস করাতে হবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button