আন্তর্জাতিক

প্রথমবারের মতো পর্যটন ভিসা চালু করলো সৌদি আরব

তেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে অর্থনীতিতে বৈচিত্র আনার চেষ্টা করছে সৌদি আরব। এরই অংশ হিসেবে এবার দেশটিতে প্রথমবারের মতো পর্যটন ভিসা চালুর ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।
ভিসা চালুর ঘোষণা দিলেও দেশটিতে পর্যটকদের কিছু বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হবে। বিশেষ করে নারীদের পোশাকের ক্ষেত্রে বজায় রাখতে হবে শালীনতা।

এ সম্পর্কে এক বিবৃতিতে দেশটির পর্যটন খাতের প্রধান আহমেদ আল খতিব জানিয়েছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যেসব নারী পর্যটকরা সৌদিতে ঘুরতে আসবেন তাদের আবায়া বা বোরকা পরতে হবে না। তবে তারা যে পোশাকই পরবেন তা শালীন হতে হবে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য সৌদি আরবের ভিসা চালু করা আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আহমেদ আল খতিব বলেন, পর্যটকরা বিস্মিত হয়ে যাবেন। এখানে ইউনেস্কো ঘোষিত পাঁচটি ঐতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে। পর্যটকরা এ দেশের সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

গত কয়েক বছর ধরেই সৌদিতে নানা ধরনের পরিবর্তন চোখে পড়েছে। ২০১৭ সালে নারীদের ওপর থেকে গাড়ি চালানোর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। এছাড়া গত বছর থেকে নারীদের ওপর পুরুষ অভিভাবকদের নিয়ন্ত্রণও কমিয়ে আনা হয়।

গত বছর বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা প্রথমবারের মতো সৌদিতে সফরের সুযোগ পেয়েছিলেন। খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে অস্থায়ীভাবে তাদের ভিসার অনুমোদন দেয় সৌদি সরকার।

বিগত বছরগুলোতে পর্যটনখাতে সৌদি এতটা গুরুত্ব দেয়নি। তবে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে ভিশন ২০৩০-এর আওতায় এখন প্রতি বছর প্রায় এক কোটি পর্যটককে নিজেদের দেশে আনার পরিকল্পনা রয়েছে সৌদির। প্রায় ৪৯টি দেশের পর্যটক পর্যটন ভিসার আওতায় সৌদিতে সফর করতে পারবেন। এতদিন পর্যন্ত শুধুমাত্র বিভিন্ন দেশের শ্রমিক, ব্যবসায়ী এবং হজ বা ওমরাহ করতে সৌদিতে আসতে পারতেন বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button