আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারে অভ্যুত্থান বিরোধীদের গ্রাম পুড়িয়ে দিচ্ছে সেনাবাহিনী

মিয়ানমারে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থান হয়েছে। যারা এর বিরোধিতা করছে, তাদের এলাকা পুড়িয়ে দিচ্ছে দেষটির সামরিক বাহিনী।

অধিকার গোষ্ঠী ‘ডাটা ফর মিয়ানমার’ গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য সংগ্রহ করে জানিয়েছে, এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী শতাধিক গ্রাম পুরোপুরি বা আংশিক পুড়িয়ে দিয়েছে। গত বছরের অভ্যুত্থানের বিরোধীদের দমাতে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি বেসামরিক ভবন পোড়ানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আর্থ-ইমেজিং কম্পানি প্ল্যানেট ল্যাবস ও নাসার স্যাটেলাইট ইমেজ পরীক্ষা করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলে গ্রাম পোড়ানোর প্রমাণ পেয়েছে। এসব গ্রামে প্রধানত বৌদ্ধরা থাকতেন।

প্রায় এক বছর ধরে ওই এলাকায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ (পিডিএফ)-এর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গোষ্ঠীর লড়াই চলছে।

পিডিএফ হচ্ছে, অভ্যুত্থানের পর সাবেক সাংসদদের নিয়ে গড়া মিয়ানমারের নির্বাসিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ এনইউজির সশস্ত্র শাখা। মিয়ানমারের সামরিক সরকার এনইউজি ও পিডিএফকে অবৈধ ঘোষণা করেছে এবং তাদের সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দিয়েছে।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হামলা ও আগুনের কারণে গ্রামবাসীরা অন্যত্র পালিয়ে গেছেন। জাতিসংঘ বলছে, ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ৫২ হাজারের বেশি মানুষ ঘর ছেড়ে পালিয়েছেন।

৭ ফেব্রুয়ারি স্যাটেলাইট ইমেজে সাগাইং এলাকার বিন গ্রামের কিছু অংশ পোড়া দেখা যায়। সেখানকার কয়েকজন বাসিন্দা রয়টার্সকে জানান, ৩১ জানুয়ারি তাদের গ্রামে আগুন দেয়া হয়। প্রায় শতাধিক বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তবে কেউ মারা যায়নি বা কাউকে হত্যা করা হয়নি।

বিরোধীদের দমাতে গ্রামে আগুন দেয়া মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর একটি পুরনো কৌশল বলে কয়েকজন বিশ্লেষক রয়টার্সকে জানিয়েছেন। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের গ্রামেও আগুন দিয়েছিল তারা।
সূত্র: ডয়চে ভেলে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button