রংপুর বিভাগসারাদেশ

অনিশ্চয়তা নীলফামারী – সৈয়দপুর মহাসড়কের উন্নয়ন কাজে!

নীলফমারী জেলা প্রতিনিধি : জেলার গুরুত্বপূর্ণ সৈয়দপুর – নীলফামারী আঞ্চলিক মহাসড়কের সংস্কার ও প্রশস্তকরনের কাজ নির্ধারিত সময় শেষ হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণে অনিয়ম, বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারন ও গাছ কর্তনে ধীর গতিসহ নানা কারণে ওই অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।
সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারভ্ক্তূ ওই প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় ২০১৭ সালে এবং ২০২১ সালের জুন মাসে কাজটি শেষ হওয়ার কথা। মাত্র এক বছর বাকি থাকলেও এখন পর্যন্ত জমি অধিগ্রহন সম্পন্ন না হওয়ায় ২২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই প্রকল্পটি স্থবির হয়ে পড়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হুকুম দখল শাখা এ পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২২ হেক্টর জমি অধিগ্রহন করে। ভূমি অধিগ্রহনে অবকাঠামো ও ক্ষতিপূরনের জন্য ৭ ধারা নোটিশের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জমি মালিকদের জিম্মি করে ২২ মাস অতিবাহিত হলেও ৮ ধারা নোটিশ প্রদানে গড়িমসি করছে। ২০১৮ সালের আগষ্ট মাসের নাভানা, রানা বিল্ডার্স ও ইসলাম ব্রাদার্স নামে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পায়। কিন্তু শুরু থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুুটি কাজে ঝামেলায় পড়ে। প্রতিষ্ঠান দুটি জমি বুঝে চাইলে সড়ক ও জনপদ বিভাগ দায় সাড়া ভাবে এড়িয়ে যান। ঠিকাদার মিজানুর রহমান বলেন, নীলফামারী থেকে সৈয়দপুর সড়কের প্রথম অংশে সাড়ে ৭ কি.মি. কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া গ্লোরি সিরামিক্স থেকে শহরের দিকে কালিতলা বাস টার্মিনাল পর্যন্ত কাজ চলমান রয়েছে। এদিকে ৮ ধারা নোটিশ জারি না হওয়ায় বিপাকে পড়েছে সংশ্লিষ্ট জমির মালিকরা। অধিগ্রহনকৃত জমির মালিক রবিউল ইসলাম বলেন, জমির টাকা এখনও বুঝে না পাওয়ায় হঠাৎ করে কোথায় বাড়ি বানাবো তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। আসগর নামে আরেক জমির মালিক বলেন, রাস্তার পাশেই আমার বাড়ি রয়েছে। রাস্তা প্রশস্তকরনের কাজ চলছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত বাড়িটি ভাঙ্গার কোন সাড়া পাইনি। তাই এক রকম অনিশ্চতার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। নীলফামারীর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মঞ্জুরুল করিম জানান, কার্যাদেশ প্রদানের ২২ মাস অতিবাহিত হলেও কাজ সন্তোষজনকভাবে এগোয়নি। জমি অধিগ্রহন সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি আরো জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করতে না পারলে নানা সমস্যায় পড়তে হবে। জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, জমি অধিগ্রহন আইনানুযায়ী করতে হচ্ছে। ইহা দীর্ঘ মেয়াদী কাজ হলেও চলমান রয়েছে। প্রথম ফেজের মালিকদের কাছে ক্ষতিপূরণের টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, আগামী মাসেই সড়ক ও জনপদ বিভাগকে জমি বুঝিয়ে দেয়া হবে। তিনি বলেন, যদি কেউ জমি অধিগ্রহনে অনিয়মের সাথে জড়িত থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button