আন্তর্জাতিক

হংকংয়ে পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষ, শতাধিক দোকান ভাঙচুর

হংকংয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ছুড়লে প্রতিবাদকারীরা পাল্টা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে সময় সৃষ্ট বিশৃঙ্খলায় শতাধিক দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা চীনা ব্যাংক ও মেট্রো স্টেশনে ভাঙচুর চালায়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

দুই সপ্তাহ বিক্ষোভ বন্ধ থাকার পর রবিবার পুনরায় রাজপথে নামেন প্রতিবাদকারীরা। গণতন্ত্রপন্থীদের বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের দেখে বিক্ষোভের প্রতি এখনও জনপ্রিয়তা রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। কট্টরপন্থী বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ অব্যাহত রেখেছে।

প্রতিবাদকারীরা কালো পোশাক পরে নাথান রোডে দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকলে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়ে। এর আগে বিক্ষোভকারীরা পাশের সিম শা সুই পুলিশ স্টেশনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছিল।

স্টেশনে জড়ো বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ছুড়ে পুলিশ। এতে শতাধিক বিক্ষোভকারী পালিয়ে যায়। বিক্ষোভকারীদের শনাক্ত করতে নীল রঙ ব্যবহার করে পুলিশ।

১৮ অক্টোবর পুলিশ বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ঘোষণার পর রবিবারের সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়ে গণতন্ত্রের পক্ষে আওয়াজ তোলার আহ্বান জানান গণতন্ত্রপন্থী নেতারা। হংকং-এর প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম বলেছেন, সাপ্তাহিক বিক্ষোভে সহিংসতায় শহর ধ্বংসের উপক্রম হওয়ায় উপনিবেশিক আমলের আইন প্রচলন করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। নিরাপত্তা সচিব জন লি বলেছেন, অনুমোদিত ও অনুনোমোদিত জনসমাগম, মিছিল বা শোভাযাত্রায় নিষিদ্ধ হবে মুখোশ ব্যবহার। রংয়ের ব্যবহারসহ মুখ ঢাকা যে কোনও কিছু এর আওতায় নিষিদ্ধ থাকবে।

এক সময়কার ব্রিটিশ কলোনি হংকং এখন চীনের অংশ। ‘এক দেশ, দুই নীতি’র অধীনে কিছু মাত্রায় স্বায়ত্তশাসন ভোগ করছে হংকং। অঞ্চলটির নিজস্ব বিচার ও আইন ব্যবস্থা রয়েছে,যা মূল চীনের চেয়ে ভিন্ন। গত ৯ জুন থেকে সেখানে কথিত অপরাধী প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা,ওই বিল অনুমোদন করা হলে ভিন্নমতাবলম্বীদের চীনের কাছে প্রত্যর্পণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। লাখো মানুষের উত্তাল গণবিক্ষোভের মুখে এক পর্যায়ে ওই বিলকে ‘মৃত’ বলে ঘোষণা দেন হংকংয়ের চীনপন্থী শাসক ক্যারি ল্যাম। তবে এতে আশ্বস্ত হতে না পেরে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে সেখানকার নাগরিকরা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হংকংয়ের স্বাধীনতার দাবি। সাপ্তাহিকভাবে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ ক্রমাগত সহিংস হয়ে উঠছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button