বিনোদন

ভয়ঙ্কর ‘ইট’-এর সিক্যুয়াল ‘ইট চ্যাপ্টার টু’ আসছে ঢাকায়

২০১৭ সালের সাড়া জাগানো ভৌতিক ছবি ‘ইট’-এর কথা ভুলে যাননি নিশ্চয়ই দর্শকরা। ভৌতিক ছবির জগতে অন্যতম শীর্ষ ছবি ‘কনজিউরিং’ কে রীতিমত হার মানিয়েছে ছবিটি। কেবল দর্শকদের বুকেই কাঁপন ধরায়নি ছবিটি, কাঁপিয়েছে বক্স অফিসও। মুক্তির প্রথম দিনেই সর্বোচ্চ উদ্বোধনী আয়ের রেকর্ড গড়ে টানা দ্বিতীয় সপ্তাহেও হলিউড বক্স অফিসের শীর্ষস্থান ধরে রাখে ছবিটি। উদ্বোধনী দিনে এটি আয় করেছে রেকর্ড ৫ কোটি ৪ লাখ মার্কিন ডলার, যা হরর ছবির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এছাড়াও, মুক্তির প্রথম তিনদিনেই ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রে আয় করেছে ১২ কোটি ৩৪ লাখ মার্কিন ডলার। আর এতে করে ‘ইট’ ছাড়িয়ে গেছে অতীতের সব হরর ছবির রেকর্ডকে। এমন একটি ছবির সিক্যুয়ালের জন্য দর্শকরা মুখিয়ে থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। অপেক্ষাটা বেশি দীর্ঘ করেননি নির্মাতারা। দুই বছরের ব্যবধানে দর্শকদের সামনে নিয়ে আসছেন নতুন ছবি ‘ইট চ্যাপ্টার টু’। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেতে যাচ্ছে ছবিটি। একই দিনে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও মুক্তি পাবে এ ছবি।

১৯৮৬ সালে প্রকাশ পাওয়া স্টিফেন কিংয়ের উপন্যাস ‘ইট চ্যাপ্টার টু’- নিয়ে ছবিটি নির্মাণ করেছেন অ্যান্ডি মুশিয়েটি। প্রথম ছবি ‘ইট’-এর পরিচালকও তিনি। এবারের ছবিতে অভিনয় করেছেন জেমস ম্যাকাভয়, জেসিকা চ্যাস্টেইন, বিল হ্যাডার, জে রায়ান, অ্যান্ডি বিন প্রমুখ।

ছোট শহর ডেরিতে সত্যিকার অর্থে কেউ মারা যায় না। রহস্যময় এক বৃদ্ধা ইট চ্যাপ্টার টু চলচ্চিত্রের টিজারে এভাবেই বলছিলেন অভিনেত্রী জেসিকা চ্যাস্টেইনকে। এ বছরের হরর সিনেমার তালিকায় অন্যতম কাঙ্খিত ছবি ‘ইট চ্যাপ্টার ট’ু। এখানেই মূলত ডেরি শহরের ভৌতিক গল্প ফুটিয়ে তোলা হবে। উপন্যাসে মূলত সাত শিশুর গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যারা ডেরির ছোট্ট শহর মাইনেতে ২৭ বছর ধরে ভয়ংকর অতিপ্রাকৃত সত্তার সঙ্গে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। অতিপ্রাকৃত সে সত্তা শহরের বাসিন্দাদের ভয় দেখায়। এমনকি সে তার আকার, আকৃতি মুহূর্তে পরিবর্তনও করতে পারে। তবে পেনিওয়াইজ নামে এক ভাঁড়ের ছদ্মবেশই ছিল তার সবচেয়ে পছন্দের। ‘ইট’ ছবিতে প্রথমবার পেনিওয়াইজের সঙ্গে সাত শিশুর সাক্ষাৎ হয়। আর এবারের ‘ইট চ্যাপ্টার টু’ তে সে শিশুরাই বড় হয় এবং তারা তাদের ছেলেবেলার সে ভয়ংকর অভিজ্ঞতারই সম্মুখীন হয়।

টিজারে দেখা যায়, বেভারলি মার্শ চরিত্রে অভিনয় করা জেসিকা চ্যাস্টেইন ডেরিতে তার শৈশব কেটেছে যে বাড়িতে, সেখানে বেড়াতে যান। সেখানে বর্তমানে থাকেন মিসেস কের্শ। টিজারের প্রথম ২ মিনিটে মিসেস কের্শের রহস্যময় আচরণের প্রতিফলন ঘটে, এমনকি তিনি সেখানে অনেকটা এমনও ইঙ্গিত দেন যে তিনিই পেনিওয়াইজের মেয়ে। স্টিফেন কিংয়ের উপন্যাসে অবশ্য বলা হয়েছে, পেনিওয়াইজের অনেক ছদ্মবেশের একটি হচ্ছে মিসেস কের্শ। টিজারে খানিকটা সে ইঙ্গিতই দেয়া হয়েছে যে, পেনিওয়াইজ কখনো কখনো কিছুক্ষেত্রে মানুষের মতোও হতে পারে। প্রথম ছবির মত এ ছবিও যে দর্শকদের বুকে কাঁপন ধরাবে তার যথেষ্ট আঁচ পাওয়া যায় ট্রেলারে। হাড় হিম করা সব দৃশ্যের মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারেন দর্শকরা।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button