অর্থনীতিবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

টাকা দিতে না চাওয়ায় গুগলের বিরুদ্ধে একাট্টা সাংবাদিকরা

গুগলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বুধবার ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ৮০০’র বেশি সাংবাদিক। ইইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন কপিরাইট আইন মেনে সংবাদমাধ্যমকে গুগল অর্থ পরিশোধ করতে রাজি না হওয়ায় তাদের এই অভিযোগ।

এএফপি জানায়, নতুন আইন অনুসারে গুগলে কোনো খবর প্রদর্শিত হলে সংশ্লিষ্টদের অর্থ দিতে হবে। প্রথম দেশ হিসেবে ফ্রান্স আইনটি অনুমোদন করেছে। এই হিসেবে বৃহস্পতিবার থেকে অনলাইনে প্রদর্শিত কাজের বিনিময়ে তারা অর্থ দিতে বাধ্য থাকবে।

কিন্তু সেপ্টেম্বরে গুগল জানায়, বিনা মূল্যে ব্যবহারের অনুমতি দিলেই সংশ্লিষ্ট আর্টিকেল, ছবি ও ভিডিও সার্চ রেজাল্টে প্রদর্শিত হবে। অনুমতি না পেলে শুধু শিরোনাম ও একটি বারলিংক প্রদর্শিত হবে। এতে সংশ্লিষ্ট বিষয়টির প্রচার কমবে। প্রকাশক বিজ্ঞাপন থেকে আয় হারাবেন।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউরোপের ৮০০ সাংবাদিক ইউরোপীয় সরকারগুলোকে চিঠি দেন। যেখানে গুগল ও অন্যান্য টেক ফার্ম থেকে তাদের আয় নিশ্চিত করতে বলেন। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে আছেন সাংবাদিক, ফটোগ্রাফার, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও মিডিয়া নির্বাহী। আরও আছেন ইউরোপিয়ান অ্যালায়েন্স অব নিউজ এজেন্সিজ ও ইউরোপিয়ান নিউজপেপার পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট।

চিঠিতে বলা হয়, আইনটি বাস্তবায়নের আগেই অর্থহীন করার চেষ্টা করছে গুগল। যা ইউরোপীয় সার্বভৌমত্ব ও জাতীয়তার প্রতি অবমাননাকর। পরিস্থিতি এমন যে সংবাদের বিপরীতে কোনো ধরনের অর্থ পরিশোধ ছাড়াই বিজ্ঞাপনের বেশির ভাগ আয় নিয়ে নিচ্ছে গুগল। অন্যদিকে মিডিয়াগুলো দিনে দিনে সংকটের মুখে পড়ছে।

তবে গুগলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইনচার্জ অব নিউজ রিচার্ড গিনগ্রাসেরর মতে, প্রতি মাসে তাদের মাধ্যমে ইউরোপের প্রকাশকেরা ৮শ’ কোটি ভিজিটর পেয়ে থাকে। যা তাদের উপকারই করছে। এখন যদি সার্চ রেজাল্টে দেখানো লিংকের জন্য টাকা পরিশোধ করতে হয় তা ব্যবহারকারীদের আস্থা দুর্বল করে দেবে।

কিন্তু এএফপিসহ সংবাদ প্রকাশকেরা বলছেন, প্রথাগত মিডিয়া থেকে অনলাইনে আসলেও তাদের কোনো ধরনের সাহায্য করছে না গুগলে প্রদর্শিত লিংক। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলছেন, গুগলকে আইন মেনে চলতে হবে। ইউরোপীয় কমিশনও বলছে, তারা সদস্য দেশগুলোকে সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে- যেন ২০২১ সালের জুনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো বিষয়টি আইনে পরিণত করে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button