রাজশাহী বিভাগ

সাপাহারে স্ত্রীর মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করেছে লম্পট স্বামী

সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁ সাপাহারে স্বামীর অনৈতিক হুকুম অমান্য করায় জেসমিন (৩০) নামের এক গৃহবঁধুকে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দিয়েছে তার লম্পট স্বামী ।
এ অমানবিক ঘটনার মুল হোতা গৃহবধুঁর স্বামী রফিকুল ইসলাম (৪০) ও শাশুড়ি রাজিয়া বেগম (৭০) বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
এলাকাবাসী ও নির্যাতনের শিকার গৃহবধু সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার হাপানিয়া বেলডাঙ্গা গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে রফিকুল ইসলামের সাথে প্রায় এক বছর পুর্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চাঁনপুর সাহেব গ্রামের নূরল ইসলামের মেয়ে জেসমিন বেগমের বিবাহ হয়। বিয়ের পর অল্পকিছু দিন তাদের দাম্পত্ত জীবন ভালো ভাবে কেটেছে। দিনে দিনে ওই সংসারে তিক্ততা বাড়তে থাকে কারনে অকারনে স্বামী ও শাশুড়ী মিলে জেসমিনের উপর শারীরিক ,মানসিক ভাবে নির্যাতন চালাতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ মে ওই গৃহবধুকে দিয়ে গ্রামের জৈনক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অপবাদ রটানোর জন্য স্বামী রফিকুল ইসলাম নির্দেশ দেয়। একজন নিরাপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেয়া মোটেও ঠিক হবেনা তাই ওই গৃহবধু স্বামীর নির্দেশ উপেক্ষা করে। এ কারনে রফিকুল ও তার মা মিলে জেসমিনের উপর পৈচাষিক নির্যাতন চালায়। শারীরিক নির্যাতনের একপর্যায়ে গৃহবধুর মাথার সমস্ত চুল কাচি দিয়ে কেটে ফেলে ও যৌনাঙ্গে মরিচের গুড়ো ছিটিয়ে দেয় পাষন্ড স্বামী রফিকুল। ঘটনা ধামাচাপা দিতে জেসমিনকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হয়। গৃহবধু জেসমিন স্বামী ও শাশুড়ির হুমকির মুখে প্রানের ভয়ে বিগত তিনদিন ধরে তার নির্যাতনের ঘটনা গোপন রাখে। গত সোমবার বিকেলে গ্রামের অন্য মহিলাদের নজর পড়ে জেসমিনের মাথার উপর কি হয়েছে জানতে চাইলে জেসমিন সবার নিকট তার নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ করে দেয়। গ্রামের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে স্বামী ও শাশুড়ি কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। বর্তমানে নির্যাতিত জেসমিন সাপাহার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ বিষয়ে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাই এর সাথে কথা হলে তিনি জানান যে, বিষয়টি তিনি অবগত হয়েছেন, ভিকটিম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ বিষয়ে জেসমিনের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। আসামীদের গ্্েরফতারে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button