আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশে ইসলামী চরমপন্থা ছড়াচ্ছে ব্রিটেন

দীর্ঘদিন থেকে ব্রিটেন চরমপন্থা ছড়ানোর জন্য অন্যদেশগুলোকে দায়ী করে আসছিল। কিন্তু এবার তার উল্টো খবর শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি দেশটির প্রভাবশালী দৈনিক ‘দ্যা ইকোনোমিস্টের’ এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ইসলামী চরমপন্থা ছড়ানোর জন্য ব্রিটেনকে দায়ী করা হয়েছে।

জঙ্গিবাদের অর্থায়ন থেকে শুরু করে, পরিকল্পনাও করে থাকে এই সকল বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ব্রিটিশ নাগরিকরা।

প্রতিবেদনে বলা হয় ১৯৭০ এর দশকেই মূলত ব্রিটেনে প্রথম বাংলাদেশি মাইগ্রেন্ট বা অভিবাসীদের আগমন ঘটে। এ সময় থেকে কিছু সময়ের জন্য বাঙ্গালি রেস্টুরেন্টগুলোতে অ্যালকোহল বিক্রি বন্ধ হয়। যার নেপথ্যে ছিল দেলোয়ার হোসেন সাইদীদের মতো ধর্মীয় বক্তাদের প্রভাব। ধীরে ধীরে তা চরমপন্থায় রূপ নিতে থাকে। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে শামীমা আকতার নামের এক লন্ডন প্রবাসীর আইএস-এ যোগ দিয়ে সিরিয়া যাওয়ার অভিযোগ এলে তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হয়।

সম্প্রতি ঢাকায় বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে উগ্রবাদের কারণ ও উৎস সন্ধান শুরু হয়। বাংলাদেশ সরকারও বারবার এর পেছনে বহিরাগতদের দোষ দিয়ে আসছে।

বাংলাদেশী বংশদূত এই সকল ব্রিটিশ নাগরিকই এই জঙ্গিবাদের অর্থের যোগান, পরিকল্পনা ও প্রসারে কাজ করে আসছে-এমন অভিযোগ করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।

বাংলাদেশ পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা জানি না ব্রিটেনে কারা উগ্রবাদ ছড়াচ্ছে। কিন্তু তা আমাদের সমাজকে কলুষিত করছে।’ প্রতিবেদনে নিষিদ্ধ ঘোষিত হিজবুত তাহরিরের বাংলাদেশ শাখার প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ গোলাম মাওলার নাম উঠে এসেছে ।

৯০ দশকে লন্ডনে অধ্যায়নের সময় তিনি সংগঠনটিতে যুক্ত হন। বাংলাদেশ সরকার এর আগে ব্রিটিশ সরকারকে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ করেছিল বেশ কয়েকবার। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারকে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় নি।

এছাড়া ২০১৬ সালে বাংলাদেশে হলি আর্টিজান হামলার প্রধান আসামী ছিলেন কানাডিয়ান প্রবাসী। তাই শুধু ব্রিটিশরা ছাড়াও অন্যান্য দেশও জঙ্গির অর্থায়নের জন্য দায়ী বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিটেনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে ব্রিটিশদের মাধ্যমে বাংলাদেশে চরমপন্থা ছড়ানোর বিষয়টি বলেছিলেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button