টিএমএসএস গ্র্যান্ড হেল্থ সেক্টরের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে টিএমএসএস গ্র্যান্ড হেলথ সেক্টরের উদ্যোগে গতকাল শনিবার ঠেঙ্গামারা বগুড়ায় বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিও পর আজ ২৬শে মার্চ ২০২২, ৫১তম মহান স্বাধীনতা দিবস। বাঙ্গালি জাতির জীবনে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অর্জনের স্মৃতি বিজড়িত দিন। এ উপলক্ষ্যে টিএমএসএস গ্র্যান্ড হেল্থ সেক্টর সারাদিন ব্যাপি নানা কর্মসূচীর আয়োজন করেন। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল সকাল ৭.৩০টায় সকল চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮.০০মি: শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে প্রভাত ফেরি হয়ে লালদহপার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পনের মধ্যে দিয়ে দিনটির শুভ সূচনা ঘটে। সকাল ৮.৩০ টায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতাল ভবনের নীচে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীর শুভ উদ্বোধন করেন। সকাল ৯.০০টায় নিরিবিলি ক্যান্টিন মাঠে খেলাধুলার আয়োজন করেন। এরপর দুপুর ১২.০০টায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের ১নং লেকচার গ্যালারীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ্ কমিউনিটি হাসপাতালের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম। আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বগুড়া জেলার বিএমএ সভাপতি ডাঃ মোঃ মোস্তফা আলম নান্নু, টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটে উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আলী আহমেদ আলম, টিএমএসএস’র উপ-নির্বাহী পরিচালক-২ রোটা. ডাঃ মোঃ মতিউর রহমান, টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ শাহজাহান আলী সরকার, টিএমএসএস গ্র্যান্ড হেল্থ সেক্টরের স্বাস্থ্যসেবা ডোমেইন প্রধান ডাঃ মোঃ আব্দুল হক, চিকিৎসা শিক্ষা ডোমেইন-২ প্রধান ডাঃ এএইচএম আক্তারুজ্জামান, টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালের উপ-পরিচালক (হাসপাতাল) ডাঃ মোঃ শামছুল হক, টিএমএসএস মেডিকেল ইনষ্টিটিউট অব রিসার্চ এন্ড টেকনোলজী ও মহাস্থান মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের অধ্যক্ষ ডাঃ মোঃ আহমেদ শরীফ প্রমুখ। অতিথিগণ বলেন ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ দিবাগত রাতে বাঙ্গালীদের উপর চলে অতর্কিত হামলা। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা দেন। ৯ মাসের ত্যাগ তিতিক্ষার পর অর্জিত হয় আমাদের গৌরাবন্বিত স্বাধীনতা। স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন মানে শুধু অনুষ্ঠান সর্বস্বতা নয়। আবেগে উদ্বেলিত হওয়া নয়। স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন মানে মনের গহীনে স্বাধীনতার একটি স্থিতিপত্র তৈরী করে নেয়া। কথায় আছে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। এই কথাটি অত্যন্ত সত্য। আমরা স্বাধীনতার ৫১ তম বছরে পদার্পন করেছি। পৃথিবীতে এখনো আমরা উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি। তাই বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের উচিত নিজের নিজের স্থান থেকে দেশের জন্য কাজ করে যাওয়া। দেশ এগিয়ে গেলে আমাদের জীবন যাত্রার মান এগিয়ে যাবে। তাই দেশের উন্নতির কথা ভাবা আমাদের সর্বপ্রকার গুরুত্বপূর্ণ কাজ। পাকিস্তান শাসন আমল হতে পরিত্রাণ পেয়ে সোনার স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। বৈষম্য থাকলে স্বাধীনতার চেতনা ও কারণ ফলপ্রসূ হবেনা, সংকল্প হতে হবে কোন বৈষম্য থাকবে না। মানুষকে ভালবাসবো, সেবা করবো, ন্যায়ের পথে চলবো। দ্বিতীয় অধিবেশনে শুরু হয় সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠান । এখানে অংশ গ্রহন করে স্বাস্থ্য সেক্টরের নিয়ন্ত্রনাধীন চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র/ছাত্রীগণ। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করেন এবং খেলাধুলায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। সর্বশেষে সভাপতির সমাপনি বক্তৃতার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।