খুলনা বিভাগসারাদেশ

আগাম জাতের টমেটো চাষে কৃষকের মুখে হাসি

রাজবাড়ী প্রতিনিধি: আগাম জাতের টমেটো চাষে কৃষকের মুখে হাসি রাজবাড়ী সদরসহ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলায়। আগাম জাতের টমেটো চাষ করে সফলতা দেখিয়েছেন কৃষকেরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষের উপযোগী জমিতে নভেলটি প্লাস টমেটো চাষ করে ভালো ফলন হওয়ায় খুশি চাষীরা। বাজার মূল্যও ভালো, তাই গত বছরে যে লোকসান হয়েছিল তা কাটিয়ে উঠা সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করেছেন চাষীরা।ইতোমধ্যে বাজারে আগাম জাতের টমেটো উঠতে শুরু করেছে।
পাংশা উপজেলার আঁধারকোটা গ্রামের কৃষক বেলাল হোসেন ও ইয়াসিন জানান, গ্রামের অধিকাংশ কৃষক ধান চাষের পাশাপাশি উপযোগী জমিতে আগাম জাতের নভেলটি প্লাস টমেটো চাষ করেছেন। তাদের হিসাবে ১০ শতাংশ জমিতে এক হাজার চারা গাছ রোপন করা হয়েছে। জমি তৈরি, চারা সার কীটনাশক নিড়ানী সেচ ও অন্যান্য বাবদ খরচ হয়েছে ১৬ হাজার টাকা। ভালো ফলন হওয়ায় এক হাজার চারাগাছ থেকে উৎপাদিত প্রায় ৫০ মন টমেটো পাবেন বলে আশা করছেন। বাজারে বর্তমান মূল্য অনুযায়ী মন প্রতি পাওয়া যাবে প্রায় ২.৫-৩ হাজার টাকা।
তবে টমেটো চাষ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এবং সময়মতো পরিচর্যা সার কীটনাশক প্রয়োগ করতে না পারলে ভাল ফলন পাওয়া যায় না। তাই শীতের বৈরী আবহাওয়ায় ক্ষতির আশংকাও করছেন অনেকে আবার। তাই কুয়াশা প্রতিরোধক স্প্রে ছিটাচ্ছেন কেউ কেউ।
রাজবাড়ী কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লিটন দেবনাথ জানান, সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে জমিতে চারা গাছ তৈরির জন্য বীজ বপন করা হয়। চারা গাছের বয়স যখন ২৫ থেকে ৩০ দিন হয় তখনই চারা উত্তোলন করে জমিতে রোপন করা হয়। চারা রোপনের আগে জমির মাটি উত্তমরুপে রোগ জীবানুমুক্ত করতে হয়। আর আগামীতে বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মতো রাজবাড়ীতেও টমেটো চাষের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বাড়বে বলে আমি মনে করি।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button