মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আসিয়ানের পদক্ষেপ চায় যুক্তরাষ্ট্র
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৩ সালের আগস্টের মধ্যে মিয়ানমারে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের যে প্রতিশ্রুতি দেশটির জান্তা দিয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে ওয়াশিংটন। একে সময়ক্ষেপণের পায়তারা মনে করছে বাইডেন প্রশাসন।
অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি সরকার উৎখাতের ছয় মাসের মাথায় মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। রোববার এক টেলিভিশন ভাষণে আগামী দুই বছরের মধ্যে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার ও ২০২৩ সালের আগস্টের মধ্যে দেশটিতে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে মিয়ানমারে সেনাশাসনের সময় আরও দুই বছর বাড়িয়ে নিয়েছে জান্তা।
মিয়ানমার জান্তার এমন প্রতিশ্রুতি প্রত্যাখ্যান করে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচন আয়োজনে দুই বছর সময় নিয়ে মিয়ানমারের জান্তা সময়ক্ষেপণ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, এটা স্পষ্ট যে মিয়ানমার জান্তা সময়ক্ষেপণ করছে। নিজেদের সুবিধার্থে তারা সময় দীর্ঘায়িত করতে চায়। তাই যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের ব্যাপারে আসিয়ানের পদক্ষেপ চায়।
এদিকে, মিয়ানমারের সংঘাত শান্তিপূর্ণভাবে থামাতে বিশেষ দূত নিয়োগ দিয়েছে আসিয়ান। এই নিয়োগের অনুমোদন দিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জোটের সদস্য ইন্দোনেশিয়া।