রাজশাহী বিভাগসারাদেশ

এক অসহায় মহিলার বাড়ির প্রাচীর ভাংচুর করেছে প্রতিবেশীরা

নওগাঁ প্রতিনিধি: আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে নওগাঁ শহরে ৩০ বছর ধরে বসবাসকারী এক অসহায় মহিলার বাড়ির অংশ জোরপূর্বক ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। পৌরসভার কতিপয় ব্যক্তির ছত্রচ্ছায়ায় চলাচলের রাস্তা নেয়ার নামে এই ভাংচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী মহিলা। এখন ঐ প্রতিবেশীরা তাকে নানারকম হুমকি প্রদান করছে। ঐ মহিলা একা হওয়ায় কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না।
জানা গেছে, জনৈক লায়লা আরজুমান বানু ১৯৯০ সালে নওগাঁ শহরের চকবাািড়য়া মৌজায় জেলা পরিষদের পশ্চিম পার্শ্বে প্রাচীর সংলগ্ন এসএ খতিয়ান নং ৪৬, আর এস খতিয়ান নং ৯৯, দাগ নং সাবেক ৬১ ও হাল দাগ ৭১ মোতাবেক মোট ১২৭ শতাংশ কাতে ১৪ শতাংশের কাতে এ্ই সোয়া ৮ শতাংশ সম্পত্তি জনৈক সেকেন্দার আলীর নিকট থেকে ক্রয় করেন। এবং পরবর্তীতে সেখানে বাড়ি তৈরী করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন।
এর মাত্র কিছুদিন পরে তার বাড়ির পশ্চিম ও দক্ষিন পার্শ্বে মহাতাব উদ্দিন, আব্দুল লতিফ এবং আবুল কালাম নামের কতিপয় ব্যক্তি জমি ক্রয় করে বাড়ি নির্মান করে বসবাস করে আসছেন। এতদিন প্রতিবেশী এসব পরিবারের লোকজন উত্তর দিকে একাধিক পথ দিয়ে নির্বিঘেœ চলাচল করে আসছেন। এখনও চলাচল অব্যাহত রয়েছে।
কিন্তু হঠাৎ করে সম্পত্তির মালিক উক্ত লায়লা আরজুমান বানু’র বাড়ির দক্ষিন এবং পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত পায়খানার বর্জ্য এবং ছোকল নিরাপদ রাখার যে প্রাচীর তা ভেঙ্গে ফেলে চলাচলের রাস্তা তৈরী করতে মরিয়া হয়ে উঠে প্রতিবেশিরা। এ ব্যপারে বাড়ির মালিক লায়লা আরজুমান বানুকে সব সময় উত্যক্ত করতে থাকে।
বাধ্য হয়ে লয়লা আরজুমান বানু নওগাঁ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ঐ সম্পত্তির উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে উক্ত মহাতাব উদ্দিন গং এবং পৌর কর্ত্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি আবেদন করেন। তার বাড়ির দক্ষিন এবং পশ্চিম পার্শ্ব দিয়ে এই ৩০ বছর ধরে চলাচলের কোন রাস্তা ছিল না এবং বর্তমানেও নাই। আদালত ৮/১৯ আবেদনের প্রেক্ষিতে ঐ সম্পত্তির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন।
পৌর কর্ত্তৃপক্ষ পূর্বে চলাচলের রাস্তা ছিল বলে একটি জবাব দেয়। এই উস্কানীতে অতি সম্প্রতি প্রতিবেশী উক্ত মহাতাব উদ্দিন, তার স্ত্রী সীমা আকতার, পুত্র সাকিব, আব্দুল লতিফের স্ত্রী জুলেখা, পুত্র কবির. আবুল কালাম তার স্ত্রী রেখা এবং পুত্র রেজাউল বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে জোরপূর্বক লায়লা আরজুমান বানুর বাড়ির দক্ষিন ও পশ্চিম পার্শ্বের পায়খানার বর্জ্য ও ছোকল নিরাপদ রাখার প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে। এতে তার প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এ ছাড়াও তারা বাড়ির মালিককে নানারকম হুমকী ধামকী প্রদান করতে থাকে। বর্তমানে নিজের বাড়িতেই বাড়ির মালিক অসহায় ভীতসন্ত্রস্ত দিন অতিবাহিত করছেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button