সারাদেশ

করোনাভাইরাস: চট্টগ্রামে সুস্থ আরও ৫ জন, মোট ৭

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ থেকে আরও ৫ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে ৭ জন সুস্থ হয়েছেন। কিন্তু সুস্থ ৫ জনই হাসপাতাল ছেড়ে যাবে কিনা সেটা নিশ্চিত করতে পারিনি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকরা। কারণ সুস্থ হওয়া একজন পিতাকে হাসপাতালে রেখে বাড়ি ফিরবেন কিনা সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) রাতে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ৫ জনের দ্বিতীয় নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ এসেছে। এছাড়া চট্টগ্রামে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়া দামপাড়ার রোগী ২ বার নেগেটিভ আসলেও ৩ বার পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। দামপাড়ায় প্রথম শনাক্ত হওয়া রোগীর সন্তান (৫ এপ্রিল) থেকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে। টানা ২ বার পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ ফলাফল পাওয়া গেছে আগেই। তিনি পুরোপুরি সুস্থ হলেও পিতাকে হাসপাতাল রেখে বাড়ি ফিরছেননা এখনো। আজকে তিনি চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত জানাবেন বাড়ি ফিরবেন কি না।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন ৫ জন। আজ বুধবার যে কোন মুহুর্তে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে চলে যেতে পারবেন। করোনা থেকে সুস্থ হওয়া ৫ জন হলেন, পাহাড়তলী সাগরিকা এলাকার গার্মেন্টস কর্মকর্তা ওমর আলী, পাহাড়তলী সিডিএ মার্কেট এলাকায় মো. কামাল উদ্দিন, হালিশহর শাপলা আবাসিকে শনাক্ত হওয়া প্রথম করোনার রোগী হাসিনা বেগম, চট্টগ্রামে প্রথম দামপাড়ায় আক্রান্ত হওয়া বৃদ্ধের ছেলে জাহেদুল হক। সীতাকুণ্ড উপজেলায় নারায়ণগঞ্জফেরত আক্রান্ত আনোয়ার।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার জামাল মোস্তফা জানান, আজকে ৫ জন করোনার রোগীকে ছাড়পত্র দেয়া যাবে। কিন্তু প্রথম শনাক্ত হওয়া বৃদ্ধ এর ছেলে পিতাকে ছেড়ে হাসপাতাল ছাড়বে কিনা তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেনি। তার সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে হাসপাতাল ছাড়পত্র ৪ বা ৫ জন কিনা।

সোমবার (২০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন ২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী। ওই ২ জনের মধ্যে একজন নগরীর কোতোয়ালী থানার ফিরিঙ্গিবাজারের গোলাম সাইফুদ্দিন মানিক (৫৫)। আরেকজন আকবরশাহ থানার ওমর ফারুক (৩৫)।

বিআইটিআইডিতে এ নিয়ে ১ হাজার ৭২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তার মধ্যে এ পর্যন্ত ৭৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রামে ৪০ জন, নোয়াখালীতে ৫ জন, লক্ষ্মীপুরে ২৫ জন, ফেনীতে ২ জন এবং বান্দরবানে ৩ জন।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) পর্যন্ত সাতকানিয়া উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ জন। এরপরেই বেশি আক্রান্ত হয়েছেন নগরীর পাহাড়তলী থানার সাগরিকা ও খুলশী থানার দামপাড়ার বাসিন্দারা। দুই থানাতেই ৬ জন। আকবর শাহ’র উত্তর কাট্টলীতে রয়েছে ৩ জন। তারপর পাহাড়তলী থানার সরাইপাড়া ২ জন, হালিশহর থানার ২ জন ও পটিয়া উপজেলায় রয়েছে ২ জন। তারপরে ১ জন করে কোতোয়ালীর ফিরিঙ্গাজার, চকবাজারের গোলপাহাড়, পাহাড়তলী থানার সিডিএ মার্কেট, পাচঁলাইশ থানার কাতালগঞ্জ আবাসিক, বন্দর থানার নিমতলা, সীতাকুণ্ড থানার পজেলার গোডাউন রোড, বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী, আনোয়ারা উপজেলার ঔষখাইন, মিরসরাই উপজেলার ১২ নম্বর খৈয়াছড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড এবং চন্দনাইশ উপজেলার পূর্ব জোয়ারা গ্রামে দশমাসের শিশু। চট্টগ্রামে শনাক্ত করোনা রোগীদের মধ্যে পাচঁজন মারা গেছেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button