বরিশাল বিভাগসারাদেশ

কলাপাড়ায় ঈদুল আযহার আমেজ নেই জনমনে

কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আসন্ন ঈদুল আয্হা উপলক্ষে মানুষের মধ্যে কোন
ইমেজ দেখা যাচ্ছে না। বিগত বছর গুলোতে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার গুলোতে অন্ততঃ এক মাস আগে থেকেই চলতো পশু বিক্রির আনাগোনা । স্থায়ী এবং অস্থায়ী বাজারে চলতো গরু -ছাগল বিক্রির ঘনঘটা । অস্থায়ী বাজার গুলোতে পশু বিক্রির জন্য বিভিন্ন সময় মাইকিং করা হতো। সব মিলিয়ে ঈদুল আয্হা উপলক্ষে এ উপজেলায় জমজমাট পশু হাটের পাশাপশি অন্য ব্যবসায়ীদের ব্যবসাও ছিল জমজমাট। এ বছর করোনা ভাইরাসের প্রভাবে মানুষ দীর্ঘদিন কর্মহীন হয়ে পড়ায় অনেকের উপার্জন সংকট দেখা দিয়েছে । ফলে এ বছর পশু কেনা-বেচায় মানুষের আগ্রহ তুলনামূলক অনেক কম। ফলে এ বছর ক্রেতার অভাবে পশুর দাম অনেকটা কম । গত বছর যে পশু ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে । এবছর তা ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে । ফলে অনেক পশুর মালিককে কাঙ্খিত দাম না পাওয়ার কারনে পশু বাড়ী ফিরিয়ে নিতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের টিয়াখালী গ্রামের পশু বিক্রেতা আবদুল সোবাহান জানান, তিনি অন্ততঃ ৬ থেকে ৭ মাস আগে যে দামে পশু কিনেছেন,এখন তার দাম অন্ততঃ ২০ হাজার টাকা কম । এতে তিনি লোকসানের মুখে পড়েছেন। ধুলাসার ইউনিয়নের চাপলী গ্রামের আরেক পশু বিক্রেতা মো.কাঞ্চন আলী জানান, বাজারে পশু যা-ও উঠেছে,তার থেকে ক্রেতা অনেক কম । ফলে ভাল দাম পাচ্ছে না ব্যাবসায়ীরা।
মো.ইউনুস নামের এক ক্রেতা জানান, তিনি প্রতি বছর নিজেই একটি পশু কিনে থাকেন। এবছর ভাগে কিনেছেন ।
এদিকে, পৌর এলাকার কতিপয় ধনাঢ্য ব্যক্তি প্রতিবছর পশু কেনার ব্যাপারে মেতে উঠতেন প্রতিযোগিতায়। কে ,কত বড় এবং দামী পশু কিনতে পারেন । তারা কোরবানীর এ পশু কিনে বিভিন্ন সাজে সাজিয়ে বাজারের
গুরুত্বপূর্ন সড়কে ঘোরাতেন। এ বছর এখনও পর্যন্ত এ দৃশ্য চোখে পড়ছে না। সব মিলিয়ে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে মানুষের উপার্জন সংকটের পাশাপাশি দেখা দিয়েছে ঈদুল আয্হার ইমেজ সংকট।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button