রংপুর বিভাগসারাদেশ

কুড়িগ্রামে আমন ধানে পোকার আক্রমণ, দিশেহারা কৃষক

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি :কুড়িগ্রামে নতুন ফসল ঘরে তোলার আগে আমন ধানের ক্ষেতে পাতা ব্লাস্ট ও কারেন্ট পোকার আক্রমণ বেড়ে গেছে। এতে করে এখন দিশেহারা অবস্থায় স্হানীয় কৃষকরা, কুড়িগ্রাম সদর,, নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আমন ধানে ব্যাপকহারে ধানের পাতায় ব্লাস্ট ও কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা গেছে। এই পোকার কারণে পাতার  উপরের  অংশের দিক থেকে প্রথমে কালো দাগ এবং ধীরে ধীরে গাছ শুকিয়ে আসছে। আবার কারেন্ট  পোকার জন্য লালচে হয়ে যাচ্ছে  ধানের গাছ। এতে প্রভাব পড়েছে  ফসলের। স্হানীয় কয়েকজন কৃষক জানান আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার ধানের ফলন ভালো হওয়ার কথা থাকলেও ধানে ব্লাস্ট ও কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দেয়ায় সেই আশা  হারিয়ে ফেলেছেন তারা। বেশ কিছু বালাই নাশক স্প্রে করলেও শতভাগ ফলাফল পাওয়া যায়নি  বলে জানান কৃষকরা। কিটনাশক ব্যাবসায়ী ৩/৪ জনের  সঙ্গে  সাংবাদিকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার আমন মৌসুমে ধানের ব্লাস্ট দমনে ব্যাকটেরিয়া ও ছএাক নাশক এবং কারেন্ট পোকা দমনে পাইমেট্রোজিন প্লাস, নাইটেনপাইরান, এসিফেড গ্রুপের কিটনাশক বেশি ব্যবহার করেছেন কৃষকরা। সরেজমিনে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের উওর কুমরপুর মৌজার আবিরের ভিটা গ্রামের কৃষক নুর হোসেন,ফকরুল, আছির উদ্দিন,  দবির, মধ্যকুমরপুর মৌজার বোনারভিটা গ্রামের কৃষক কার্তিক চন্দ্র  বর্মন, মনিরুজ্জামান ও মাধবরাম মৌজার সর্দারপাড়া গ্রামের খলিলুর রহমান, আ: করিম জানান আমরা কোনদিন আমাদের গ্রামে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদেরকে  দেখিনি। তাই তাদেরকে চিনবো কি ভাবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভোগডাঙ্গায় মাধবরাম মৌজায় মিলন চৌধুরী, মধ্যকুমরপুর মৌজায় কে,এম নাজমুল হুদা, উওর কুমরপুর মৌজায় হাবিবুর রহমান উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্বে রয়েছেন। তারা মাসে ২/৩ দিন এলাকায় একযোগে এসে ইউনিয়ন পরিষদের দ্বি-তল ভবনে বসে খোশগল্প সহ চায়ের দোকানে আড্ডা এর মধ্যে ২/৪ জন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে বা মাঠে গিয়ে দেখা করে এলাকা ছেড়ে চলে যায়।বুধবার (১১নভেম্বর) দুপুরে এক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পাটেশ্বরী বাজারের এক চায়ের দোকানে ঔষধ ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে চলে যান বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে। বর্তমান সরকার কৃষকদের দারপ্রান্তে পৌঁছে সেবাদানের জন্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নানা সুযোগ সুবিধা দিলেও কতিপয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কারণে সরকারের আসল উদ্দেশ্য ভেস্তে যাচ্ছে বলে সচেতন মহল মনে করছেন। কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে এবার জেলায় আমন আবাদের লক্ষমাএা ধরা হয়েছে ১লক্ষ ১৫ হাজার হেক্টর,,, অর্জিত ১লক্ষ ১৯ হাজার ৮০৫ হেক্টর, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫৭৯৫ হেক্টর। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ শামসুদ্দিন মিঞা বলেন,, আমরা ব্লাস্ট এবং কারেন্ট পোকা দমনে সার্বক্ষণিক মনিটরিংং করছি। এ বিষয়ে কৃষকদের সঙ্গে উঠান বৈঠক করে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছি এবং এসব রোগ দূর করতে পরামর্শ সম্বনিত লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান আমন ফসলে তেমনটা রোগ বালাই নেই।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button