বিনোদন

স্টার সিনেপ্লেক্সে একই দিনে মুক্তি পাচ্ছে আলোচিত দুই ছবি

১৮ অক্টোবর আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পেতে যাচ্ছে হলিউডের আলোচিত দুই ছবি ‘ম্যালেফিসেন্ট: মিসট্রেস অব ইভিল’ এবং ‘জম্বিল্যান্ড: ডাবল ট্যাপ‘। একই দিনে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও মুক্তি পাবে ছবি দু’টি।
প্রায় পাঁচ বছর পর নতুন সিনেমা মুক্তি পেতে যাচ্ছে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির। ২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া ডিজনির ছবি ‘ম্যালেফিসেন্ট’-এর সিক্যুয়াল ‘ম্যালেফিসেন্ট: মিসট্রেস অব ইভিল’ নিয়ে দর্শকদের সামনে আসছেন তিনি। ছবির ট্রেলারে ভয়ঙ্কররূপে দেখা গেছে তাকে। মাথায় শিং আর দুই ডানা নিয়ে বড় পর্দায় ফের জাদু দেখাবেন তিনি। ‘বাই দ্য সি’র পর অনেকদিন সিনেমায় বিরতি ছিলো। সেই বিরতি কাটিয়ে এই সিনেমার মাধ্যমেই ফিরছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। জোয়াকিম রোনিং পরিচালিত ছবিটি ইংরেজি ও হিন্দি দুই ভাষায় মুক্তি পাবে। অন্যদিকে, ডাকিনীবিদ্যার প্রয়োগে প্রাণ ফিরে পাওয়া লাশকে বলা হয় ‘জম্বি’। পুরো আমেরিকা আসলে জম্বিদেরই দেশ- এরকম কাহিনী নিয়ে নির্মিত ‘জম্বিল্যান্ড’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিলো ২০০৯ সালে। প্রায় এক দশক পর দর্শকদের সামনে আসছে এ সিনেমার সিক্যুয়াল ‘জম্বিল্যান্ড: ডাবল ট্যাপ‘।

মাথায় শিং আর দুই ডানা নিয়ে পর্দায় আসছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
‘ম্যালেফিসেন্ট’ ছবিটি হলিউড বক্স অফিসে আলোড়ন সৃষ্টি করে। প্রশংসিত হয় অ্যাঞ্জেলিনা জোলির অভিনয়ও। এবার এই ছবির সিক্যুয়েল ‘ম্যালেফিসেন্ট: মিসট্রেস অব ইভিল’ আসছে। এরই হিন্দি ভাষার সংস্করণটিতে ম্যালেফিসেন্টকে ভারতীয় দর্শকদের কাছে কণ্ঠ দিয়ে তুলে ধরবেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। অ্যাঞ্জেলিনা জোলির অভিনয়কে ভারতীয় দর্শকের কাছে কণ্ঠ দিয়ে তুলে ধরতে ঐশ্বরিয়ার বিকল্প নেই ভাবছেন ডিজনি ইন্ডিয়ার প্রধান বিক্রম দুগ্গাল। তিনি বলেন, ‘দেখুন, কত চমৎকার করে পর্দায় ম্যালেফিসেন্টকে তুলে ধরেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। তাঁকে আমাদের এখানকার দর্শকের কাছে কণ্ঠাভিনয় দিয়ে পৌঁছে দিতে ঐশ্বরিয়ার থেকে আর কে যোগ্য হতে পারে। আমরা চেষ্টা করেছি ঐশ্বরিয়ার কণ্ঠের মাধ্যমে এই চরিত্রকে হিন্দি দর্শকের কাছে তুলে ধরতে।’

১৯৫৯ সালে ফরাসি লেখক চার্লস পেরোর ‘দ্য স্লিপিং বিউটি’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছিলো ‘স্লিপিং বিউটি’ ছবিটি। ৫৫ বছর পর ২০১৪ সালে দর্শকদের সামনে আসে এর রিমেক চলচ্চিত্র ‘ম্যালেফিসেন্ট’। সিনেমাটির গল্পে দেখা যায়, জনপ্রিয় কল্পকথা স্লিপিং বিউটি বা ঘুমন্ত সুন্দরীর কাহিনী। সেই ঘুমন্ত পরীকে সবাই ভুল বোঝে। রাজকন্যা অরোরা এবং এমন একটি রাজ্যের রাজার সঙ্গে তার সম্পর্ক দেখানো হয় যে রাজ্যের মূলে রয়েছে ভয়ংকর সব ঘটনা। এবারের ছবিতে দেখা যাবে, রাজপুত্র ফিলিপ রাজকন্যা অরোরাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং রাজকন্যা প্রস্তাবটি গ্রহণ করে। এরপর ম্যালেফিসেন্টের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ফিলিপসের মা ইনগ্রিথ পরিকল্পনা করে এই বিয়ের মধ্য দিয়েই মানবজাতি ও পরীদের মধ্যে সম্পর্ক চিরদিনের মতো শেষ হয়ে যাবে। এরপর যুদ্ধক্ষেত্রে দুই ভিন্ন পক্ষে অবস্থান নেয় অরোরা ও ম্যালেফিসেন্ট। এবারও প্রিন্সেস আরোরা হিসেবে থাকছেন এল ফ্যানিং। অভিনয়ের পাশাপাশি এবারের ছবিতে সহ-প্রযোজক হিসেবে আছেন জোলি।

এক দশক পর আসছে ‘জম্বিল্যান্ড’-এর সিক্যুয়াল
ডাকিনীবিদ্যার প্রয়োগে প্রাণ ফিরে পাওয়া লাশকে বলা হয় ‘জম্বি’। পুরো আমেরিকা আসলে জম্বিদেরই দেশ- এরকম কাহিনী নিয়ে নির্মিত ‘জম্বিল্যান্ড’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিলো ২০০৯ সালে। প্রায় এক দশক পর দর্শকদের সামনে আসছে এ সিনেমার সিক্যুয়াল ‘জম্বিল্যান্ড: ডাবল ট্যাপ‘। প্রথম ছবির পরিচালক রুবেন ফ্লেচারই এ ছবি পরিচালনা করেছেন। অভিনয়শিল্পীদের তালিকায়ও খুব একটা পরিবর্তন ঘটেনি। আগের ছবির মত এ ছবিতেও থাকছেন অস্কার মনোনীত অভিনেতা উডি হ্যারেলসন, জেসি আইজেনবার্গ, এবিগেইল ব্রেসলিন ও অস্কারজয়ী এমা স্টোন।
হলিউডের এখন পর্যন্ত সবচাইতে ব্যবসাসফল জম্বি সিনেমা ‘জম্বিল্যান্ড’। আইএমডিবিতে ৭ দশমিক ৮ রেটিং পাওয়া সিনেমাটি সমালোচকদেরও মন জয় করতে সক্ষম হয়েছিলো। একাধিক অ্যাওয়ার্ডও ঘরে তুলেছে ছবিটি।

কয়েকমাস ধরে আমেরিকার গবাদিপশুর মধ্যে একটি অদ্ভুত রোগ ছড়িয়েছে, যার কোন প্রতিষেধক পাওয়া যায় না। বরং রোগটি মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে এবং আক্রান্ত মানুষেরা যাকেই কামড় দিচ্ছে সে একই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এমন অবস্থায় কলেজছাত্র কলম্বাস রওনা দেয় ওহাইওতে। তার বাবা মা বেঁচে আছে কি না দেখার জন্য। তখন তার পরিচয় ঘটে টালাহাসি নামের আরেকজন লোক এবং দুইবোন উইচিতা ও লিটল রকের সঙ্গে, যাদের প্রত্যেকেই এই ভয়ঙ্কর রোগের হাত থেকে বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে। মূলত এই চারজনকে নিয়েই এগিয়ে যায় ‘জম্বিল্যান্ড’-এর কাহিনী। প্রথম ছবির কাহিনির সূত্র ধরেই ‘জম্বিল্যান্ড: ডাবল ট্যাপ‘-এর চিত্রনাট্য অগ্রসর হয়েছে। ছবিতে বেশ কিছু চোখ ধাঁধানো অ্যাকশন দৃশ্য রয়েছে। সেই সাথে রয়েছে মজার দৃশ্যও। এ ছবিতেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। ছবির ট্রেলারে তেমন আভাসই মিলেছে। আগের ছবির মত এ ছবির সাফল্য নিয়েও যথেষ্ট আশাবাদী পরিচালক রুবেন ফ্লেচার। তার মতে, এ ছবিতে দর্শকরা অনেক দারুণ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাবেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button