চট্টগ্রাম বিভাগসারাদেশ

চট্টগ্রামের এবার ৯ উপজেলায় ‘রেড জোনে’

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শহরের ১০টি এলাকার পর এবার চট্টগ্রামের ৯টি উপজেলাকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনটি উপজেলাকে হলুদ জোন ও দুটি উপজেলাকে সবুজ জুন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি এই ঘোষণা দেন।

রেড জোনের ৯ উপজেলা হলো- আনোয়ারা, বাঁশখালী, বোয়ালখালী, চন্দনাইশ, পটিয়া, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, সীতাকুণ্ড ও হাটহাজারী। এছাড়া হলুদ জোনের তিন উপজেলা- ফটিকছড়ি, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া। আর সবুজ জোনে থাকা দুটি উপজেলা হলো, স্বন্দ্বীপ ও মিরসরাই।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথভাবে চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলাকে তিন জোনে ভাগ করেছে। মূলত প্রতি ১ লাখ জনসংখ্যায় গত ১৪ দিনে ১০ জন আক্রান্ত হয়েছে এমন এলাকাগুলোকেই রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। রেড জোন ঘোষিত উপজেলাগুলোর প্রশাসনকে এ বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলাগুলোকে লকডাউনের আওতায় আনা হবে।

সোমবার চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী লকডাউন চলাকালীন সময়ে চিহ্নিত এলাকায় সরকারি আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি হিসেবে গণ্য হবে। লকডাউন চলাকালীন সময়ে চিহ্নিত ওয়ার্ডে যানবাহন, জন চলাচল ও দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এছাড়া প্রত্যেককেই অবশ্যই ঘরে থাকতে হবে।

সিভিল সার্জন আরও জানান, লকডাউন চলাকালীন সময়ে এলাকার অধিবাসীরা নিজের এলাকায় থাকবেন এবং বাইরের কেউ নিজেদের এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না। যারা ঘরে আবদ্ধ থাকবেন তাদের প্রয়োজন ও চাহিদা পূরণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হবে। এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নির্দিষ্ট টেলিফোন নম্বরে এলাকাবাসীর চাহিদা মোতাবেক ন্যায্য বাজারমূল্যে খাদ্য, ওষুধপত্রসহ দৈনন্দিন স্বাভাবিক জীবন যাপনের উপকরণ ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। আর যারা হতদরিদ্র তাদের অবস্থার কথা বিবেচনা করে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।’

এর আগে চট্টগ্রাম মহানগরের ১০টি ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button